অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

১৮২০ এর আগে টমেটো খাওয়া ছিল পাপ!

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার  

টমেটো ছাড়া আমাদের রান্না বর্তমানে অসম্পূর্ণ থেকে যায়।  এ কালের অধিকাংশ রান্নাই টমেটো-রাগরঞ্জিত। টমেটোর চাটনিই বা কম কীসে! কিন্তু ২০০ বছর আগে ছবিটা এমন ছিল না। তখন মনে করা হত টমেটো অচ্ছুত্। একে ছুঁলেও পাপ। তাই খাওয়া তো দূরের কথা, একে ঘরের ত্রিসীমানায় ঘেঁষতেই দিতেন না সেকালের মানুষরা।
  
কেউ কেউ আবার টমেটো যে আদৌ খাওয়ার জিনিস তা-ই মনে করতেন না। ভাবতেন এ বুঝি ডেকোরেশন প্ল্যান্ট। আবার কেউ ভাবতেন এ এক ধরনের বিষাক্ত ফল। টমেটো নিয়ে হাজারো সংশয় ছিল। যার অধিকাংশই খণ্ডন করা হয় ১৮২০ সাল নাগাদ। ১৮২০ সালে ঘোষণা করা হয় টমেটো বিষাক্ত নয়। ঘোষণার তারিখ নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। কারও মতে ২৮ জুন আর কারও মতে ২৬ সেপ্টেম্বর। 

কলোনেল জনসন নামের এক গবেষক নাকি এদিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন টমেটো বিষাক্ত নয়, অতএব খাওয়া নিরাপদ। যদিও এর মানে এই নয় যে, ঠিক তার পরদিন থেকেই রাতারাতি মানুষ টমেটো খেতে শুরু করে দেন। তখনও একে নিয়ে বহু সংশয়, দ্বিধা, প্রশ্ন, বাধা, সংস্কার ছিল।   

তবে প্রাচীন কালে সর্বত্রই যে এমনটা ছিল তা নয়।  এজটেক সভ্যতায় টমেটোর ব্যবহার ছিল বলেই জানা যায়। তাছাড়া ধনী ইউরোপিয়ানদের মধ্যেও এর প্রচলন ছিল। তবে সাধারণের কাছে খাদ্য হিসেবে গ্রাহ্য হতে এর অনেক সময় লেগেছিল। মেসোয়ামেরিকাতেই টমেটোর চল বেশি। তবে টমেটোর প্রকৃত উত্সস্থল হল স্পেন বা পর্তুগাল।

টমেটো নিয়ে তো রীতিমত উৎসব করা হয় স্পেনে। সেখানে আমাদের দিওয়ালি বা হোলির মতো আয়োজন করা হয় ‘লা টমাটিনো’ উৎসব। যেখানে একে অপরকে টমেটো ছুঁড়ে মারেন। টমেটোর উপরই গড়াগড়ি খান। 

মোটামুটি ১৭০০ সালের পর থেকেই নাকি টমেটো নিয়ে গুজবের ছড়াছড়ি ও বাড়াবাড়ি। কোনও একবার এক ধনীর ডাইনিং হলে খাওয়ার সময়ে টমেটোর পেয়ালা নাকি টেবিলের কাপড়ের উপর উল্টে পড়ে। কিছুতেই সে দাগ ওঠে না। ব্যস! তার পর থেকেই লোকমুখে গুজবের শুরু!