বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বিশ্বব্যাংকের ১৬০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ২৬ জুন ২০২১ শনিবার
করোনায় সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে উচ্চশিক্ষা খাত আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের জন্য ১৯১ মিলিয়ন ডলার ( এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা) ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় আসা ঋণ পরিশোধে সময় থাকবে ৩০ বছর। গ্রেস পিরিউড বা পরিশোধের অতিরিক্ত সময় হিসেবে ৫ বছর যোগ করা যাবে।
শুক্রবার (২৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, এই ঋণের অর্থ মূলত দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। যার মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে একই পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হবে ও শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, করোন দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চশিক্ষা খাতে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। অনেক শিক্ষার্থী বিশেষত মেয়েরা ঝরে পড়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে যা নারী শ্রমশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশের মাধ্যমে একটি পোর্টাল খোলা হবে। যার মাধ্যমে নিবন্ধিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে অন্য দেশে গিয়ে কোন একটি কোর্স করতে পারবে যা তার গ্রাজুয়েশনের ক্রেডিট হিসেবে যোগ হবে।
এই ঋণ জাতীয় গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াবে এবং শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ পরিধি বিস্তার করবে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শ্রমশক্তিতে নারী অংশগ্রহণের হার বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তাই উচ্চশিক্ষায় নারীদের আরও অংশগ্রহণ, তাদের ভালো চাকরি ও নেতৃত্ব তৈরি করতে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। যার নেতৃত্বে থাকবে চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন।