কারিনার ছেড়ে দেয়া ছবি পেয়ে সুপারস্টার হলেন যারা

এমন নয় যে বলিউডের সাফল্য ধরা দেয়নি কারিনা কাপুর খানের। তবে জীবনে এমন কিছু ছবির অফার তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন, যার তালিকা দেখলে মনে হবে সেই অফারে রাজি হলে তার ক্যারিয়ারগ্রাফ এমন জায়গায় যেতো যে বাকিরা অনেক পিছনে পড়ে থাকত। অন্যদিকে, সেই ছবিগুলি করেই একের পর এক নায়িকা সুপারহিটের তকমা পেয়েছেন।  

প্রীতি জিন্তা (কাল হো না হো)

কারিনার সবচেয়ে প্রিয়, কাছের বন্ধু, পরিচালক করণ জোহর কারিনাকে ভেবেই 'কাল হো না হো' ছবির নয়না চরিত্রটি লিখেছিলেন। শেষ মুহূর্তে সেই ছবি থেকে বেরিয়ে যান করিনা। বেশ অনেকদিন দুজনে দুজনের সঙ্গে কথা বলতেন না।  করণের বাবা যশ জোহরের মৃত্যুর পর অভিমান ভাঙে। করণের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান করিনা। ততদিনে প্রীতি জিন্তা 'নয়না' চরিত্রে অভিনয় করে শাহরুখ আর সইফকে নিয়ে সুপার-ডুপার হিট।
  
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (ফ্যাশন)

পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের 'ফ্যাশন' ছবিটির চিত্রনাট্য যে কেন কারিনা ফেরত পাঠিয়েছিলেন, তা স্বাভাবিক বুদ্ধিতে বোঝা মুশকিল। একটা কারণ হতে পারে যে, কঙ্গনার সঙ্গে দুই নায়িকা চরিত্র তিনি করতে চান নি। অথচ, তার ছেড়ে দেওয়া ছবিতে অভিনয় করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন। কঙ্গনার ঝুলিতেও আসে তার প্রথম জাতীয় পুরস্কার। অথচ মধুরের পরের ছবি 'হিরোইন'য়ে অভিনয় করেন করিনা।
  
রানি মুখার্জী (ব্ল্যাক)

সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবিতে অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে থাকেন যে কোনও অভিনেতা। সেই পরিচালকের 'ব্ল্যাক' ছবির জন্য প্রথম পছন্দ থিলেন কারিনা কাপুর। কিন্তু কারিনার ছবির চরিত্র পছন্দ হয় নি। আবারও সেই ছবির 'মিশেল ম্যাকনেলি' চরিত্র করে রানি মুখার্জি পান সেই বছরের প্রায় সব পুরস্কার।  

আমিশা প্যাটেল (কাহো না পেয়ার হ্যায়)

হৃতিক রোশনের সঙ্গে 'কাহো না পেয়ার হ্যায়' ছবিতেই অভিষেক হতে পারত কারিনা কাপুরের, যদি তিনি রাকেশ রোশনের অফারে রাজি হতেন। তার পরিবর্তে জে পি দত্ত-র ছবি 'রিফিউজি'তে অভিষেক বচ্চনের নায়িকা হন তিনি। পরে এ ছবি দিয়ে  আমিশা প্যাটেল তখন গোটা দেশের হার্টথ্রব।
  
ঐশ্বরিয়া রাই (হাম দিল দে চুকে সানাম)

ঐশ্বরিয়া রাই যে 'হাম দিল দে চুকে সানাম' ছবির প্রথম পছন্দ ছিলেন না, তা কে জানত! বলিউড জুড়ে এমনই খবর ছিল যে সালমন-ঐশ্বরিয়া ব্যক্তিগত জীবনের রসায়ন পর্দায় ধরতে চেয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু ভিতরের গল্প অন্য। এই চরিত্রের জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন কারিনাই। তিনি রাজি হননি। আর তারপর এই ছবি করে ঐশ্বরিয়া বলিউড ক্যারিয়ারগ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়।