মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে নিচ থেকে চতুর্থ বাংলাদেশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ২১ জুন ২০২১ সোমবার
দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা মে মাসে বিশ্বের চতুর্থ সর্বনিম্ন ইন্টারনেট গতি অনুভব করেছেন। আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কোনও দেশের মোবাইল ইন্টারনেট গতি মাসটিতে বাংলাদেশের চেয়ে কম ছিল না। তবে ব্রডব্যান্ড গতিতে মাঝারি অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক, অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রযুক্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থানীয় সংস্থা ওকলা’র মে এর ‘স্পিডেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সে’ ১৩৭ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৩৪ তম অবস্থানে রেখেছে।
যদিও ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটে গতি আগে থেকে বেড়েছে তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলো তারচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ছিল ১০.৬৪। এই গতিতে বৈশ্বিক অবস্থান ছিল ১৩৯ দেশের মধ্যে ১৩৫ তম। মে মাসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১২.৫৩ এমবিপিএস।
তবে মে মাসে ব্যবহারকারীদের যে ইন্টারনেট গতি দিয়েছে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটরদের অ্যাসোসিয়েশন (এমটিওবি)।
এমটিওবির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ জানান, স্পিড টেস্ট হিসেবে ১২.৫৩ অনেক ভালো ফল, এই সাথে ডাউনলোড স্পিডও বেড়েছে। আমরা এতে সন্তুষ্ট। অপারেটররা তাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ওকলার প্রতিবেদন মতে, আফগানিস্তান ছাড়া কেবল সোমালিয়া এবং ভেনিজুয়েলার ব্যবহারকারীরা মে মাসে বাংলাদেশের চেয়ে কম মোবাইল ইন্টারনেট গতি পেয়েছে।
রিপোর্ট মতে মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে মে মাসে সবার শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির প্রতি সেকেন্ডে ১৯৪ এমবি ডাউনলোড স্পিডের বিপরীতে আপলোড গতি ছিল ২৮.৩৬ এমবিপিএস।
আপলোড গতির ক্ষেত্রে মে মাসে ৭.৮৫ এমবিপিএস পেয়েছে বাংলাদেশের গ্রাহকরা যেখানে বৈশ্বিক গড় গতি ১২.৬৩ এমবিপিএস। আর ডাউনলোড স্পিড ছিল ১০.৬৯ এমবিপিএস।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে মোবাইল ইন্টারনেট গতি ছিল যথাক্রমে ১৫.২৪, ১৯.৯ ও ১৯,৫৪ এমবিপিএস।
এদিকে ব্রডব্যান্ড গতিতে ১৭৬ দেশের মধ্যে ৯৬তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। মে মাসে দেশের ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোড গতি ছিল ৩৮.১৩ এমবিপিএস ও আপলোড গতি ছিল ৩৬.৬২ এমবিপিএস। যেখানে বৈশ্বিক গড় ডাউনলোড গতি ১০৫ এমবিপিএস ও আপলোড গতি ৫৫.৯৫ এমবিপিএস।