পিইসি-ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না, অটোপাসে নয় মূল্যায়ন বাড়ির কাজে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২০ জুন ২০২১ রোববার আপডেট: ০২:৫৬ পিএম, ২০ জুন ২০২১ রোববার
ড়ির কাজের ওপর মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেয়া হবে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবারও হবে না। তবে গতবারের মতো অটোপাস না দিয়ে এবার বাড়ির কাজের ওপর মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মতির পর এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হবে। এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
শিক্ষা অধিদপ্তরও বলছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিনকেদিন খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া কঠিন। তাই বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এবার গতবারের মতো অটোপাস দেয়া হবে না।
গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে পিএসসি, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। পিএসসি ও জেএসসি শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দেয়া হয়েছিল। আর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ফলাফল দেয়া হয়।এই চারটি পরীক্ষায় প্রতিবছর প্রায় ৫৫ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে। গত বছর পরীক্ষা না নেওয়ায় কাউকেই মেধাবৃত্তিও দেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষা না নেয়া হলেও ছাত্রছাত্রীদের শিখন ঘাটতি পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই টেলিভিশন ও বেতারে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে গুগলমিটের মাধ্যমে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। ঘাটতি পূরণের পদক্ষেপে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় বাড়ির কাজ।
এ লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে ‘অন্তর্বর্তীকালীন পাঠপরিকল্পনা’। তাতে বিষয়ভিত্তিক বাড়ির কাজ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা হিসাব করে শিক্ষকরা তা ফটোকপি করবেন। এরপর সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তা বুঝিয়ে দিয়ে আসবেন।
শিক্ষার্থী অভিভাবকের সহায়তায় বাড়ির কাজ করে রাখবে। পরের সপ্তাহে গিয়ে তা সংগ্রহের পাশাপাশি নতুন কাজ দিয়ে আসবেন। দ্বিতীয় সপ্তাহে গিয়ে সেটা সংগ্রহ করে আবার তৃতীয় বাড়ির কাজ দিয়ে আসবেন। এই পাঠ পরিকল্পনাটি তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।