এসডিজি অগ্রযাত্রায় সেরা তিনে বাংলাদেশ
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার
২০১৫ সালে টেকসই উন্নয়নে (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতিসংঘ। এসডিজি ইনডেক্স মতে, সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতিতে সেরা তিন দেশের একটি বাংলাদেশ।
সেরা তিনের বাকি দুটি দেশ হলো কোয়েট ডি'ভায়ার ও আফগানিস্তান।
সোমবার (১৪ জুন) ২০৩০ সালের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার অগ্রযাত্রা মূল্যায়নের ইনডেক্স ও ড্যাশবোর্ড প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন নেটওয়ার্ক।
সূচকে ১৬৫ দেশের মধ্যে ১০৯তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। চার বছর আগে ১৫৭ দেশের মধ্যে ছিল ১২০ নম্বর।
দেশের মোট স্কোর ৬৩.০২ শতাংশ থেকে একবছরে বেড়ে হয়েছে ৫৩.০৫ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা ছিল ৫৯.০১ শতাংশ৷
রিপোর্ট মতে, অন্য যে কোন অঞ্চল থেকে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে আছে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া। ২০১০ এর এমডিজি ও ২০১৫ পরবর্তী এসডিজি সূচকে তা লক্ষ্য করা গেছে।
অনেক দেশই সর্বনিম্ন স্তর থেকে শুরু করে। তবে নিচের দিকে নেমেছে ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা ও তুভালু্। এসডিজি ইনডেক্সে সেরা তিনে আছে যথাক্রমে ফিনল্যানৃড, সুইডেন ও ডেনমার্ক।
এসডিএসএন এর সভাপতি এবং এই প্রতিবেদনের প্রথম লেখক জেফ্রি ডি শ্যাশ বলেছেন, কোভিড-১৯ কেবল বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থাই নয় বরং একটি টেকসই উন্নয়ন সংকট তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, “এসডিজির অগ্রগতি পুনরুদ্ধার করার জন্য, উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বৈদেশিক কর সংস্কার এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের বর্ধিত অর্থায়নের মাধ্যমে আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
"বাজেটে ছয়টি মূল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সমর্থন করা উচিত। সেগুলো হলো- সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জ্বালানি এবং শিল্প, টেকসই কৃষি এবং ভূমি ব্যবহার, টেকসই নগর অবকাঠামো এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলিতে সর্বজনীন অনুপ্রবেশ।"