জীবন আগে, পরীক্ষা না দিলে এমন কোনও ক্ষতি হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ১৩ জুন ২০২১ রোববার আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ১৩ জুন ২০২১ রোববার
দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারে কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি`
পরীক্ষা এক বছর না দিলে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সে সময় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। তোমাদের সুস্থতা এবং জীবন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেওয়া যায় কিংবা অন্য কোনোভাবে সেটি করা যায় কিনা সেটা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।'
দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারে কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি।’
তিনি বলেন, ‘১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এখন সীমান্ত এলাকায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষাদানের বিষয়টি চলমান রয়েছে। নতুন পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, স্বাভাবিক পড়াশোনা যেন বাড়িতে চালিয়ে যায় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছুটি বেড়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত। গত বছর থেকেই ক্লাস চলতে থাকে অনলাইনে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও সংসদ টিভিতে নেয়া হয় ক্লাস।
তবে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই শিক্ষণের এই প্রক্রিয়া থেকে দূরে রয়েছে বলে নানা জরিপে উঠে এসেছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সন্তানরা আদৌ পড়ালেখার মধ্যে আছে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন। জরিপে জানা যায়, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
এছাড়া, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকরা পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে আছেন।