নিষিদ্ধ, তবু দৈনিক উৎপাদিত হয় ৫ লাখ পলিব্যাগ
অপরাজেয় বাংলা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার আপডেট: ০২:০৯ পিএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার
২০০২ সালে পরিব্যাগ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে সরকার। তা সত্ত্বেও বিপুল হারে উৎপাদিত হচ্ছে পলিব্যাগ। এমনকি আগের চেয়ে সে সংখ্যা বেড়েছে। যা মানুষের জীবন ও পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি করছে।
স্থানীয় এক পরিবেশ গবেষক দলের মতে, করোনাকালে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ৭৮ হাজার টন পলিব্যাগ বর্জ তৈরি হয়েছে এবং দৈনিক ৫ লাখের বেশি পলিব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে।
গবেষণা অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে দেশে ৩০০ পলিব্যাগ উৎপাদন কারখানা ছিল। ২০২১ সালে সে সংখ্যা ৭০০ থেকে এক হাজার হয়েছে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন জানান, গবেষণায় দেখা গেছে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৬ হাজার টন পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার হয় আর পুরো দেশজুড়ে তা ৭ হাজার ৮৫০ টন।
ওয়েবিনার দেশের বিশিষ্ট নাগরিক থেকে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মীরাও অংশ নেন। ওয়েবিনারে বক্তারা পলিথিন ব্যাগের ব্যবহারকে দেশের বাস্তুশাস্ত্রের জন্য ক্ষতিকর বলে আখ্যায়িত করে উৎপাদন বন্ধে সরকারি আইন কার্যকরে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
শাহরিয়ার হোসেন বলেন, শুধু পরিবেশ বিভাগকেই নয়, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও দায়িত্ব দিতে হবে। পরিব্যাগ ব্যবহার বন্ধে রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব পর্যবেক্ষণ করে তিনি সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
পরিবেশ, বন, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব কেয়া খান সেমিনারে বলেন, সরকার অবৈধ পলিব্যাগ উত্পাদন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং এর বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জনগণকে সচেতন হতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের ব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছু সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন- যেমন ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার না করা এবং প্লাস্টিক দিয়ে প্যাকেজিং মোকাবেলা করা।