আসনে নতুন নকশা, পায়ে পা তুলে ইকোনমি ক্লাসে আকাশযাত্রা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ৩১ মে ২০২১ সোমবার আপডেট: ১১:১২ এএম, ৩১ মে ২০২১ সোমবার
কোভিড-১৯ কত কীই না এনে দিচ্ছে নতুন নতুন। মানুষের অভ্যাস বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে অনেক কিছুই। তবে বেশি করে আলোচনা হচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে। বিশেষ করে গণপরিবহনে। কি করে নিরাপদে যাত্রী পরিবহন করা যাবে। কতটা সংক্রমণমুক্ত রাখা যাবে। উড়োজাহাজের নকশাবিদরা অনেক দিন ধরেই ইকোনমি কেবিন কনসেপ্ট নিয়ে ভেবে আসছেন। তার মূলে ছিলো কি করে আরো বেশি মানুষের স্থান করে দেওয়া যায় একটি যথার্থ ভারসাম্যতায়। আর তাদের ভ্রমণ যাতে আনন্দদায়ক হয় সেটিও একটি বড় চিন্তা। কোভিড-১৯ মহামারির পর এই ভাবনা আরো গাঢ় হয়েছে। এবং আসছে নানাবিধ নকশা।
এর মধ্যে অন্যতম পছন্দসই একটি হচ্ছে চাইনিজ লাউঞ্জ ইকোনমি সিট প্রজেক্টের করা নকশা। এটি কেবিনে দুই স্তরে আসন বিন্যাসের কথা বলছে। একটি স্তর মেঝের বরাবর বসবে। আরেকটি স্তর মেঝে থেকে কয়েক মিটার উঁচু হয়ে বসানো হবে। এই নকশাটি বানিয়েছে স্পেনের বাসিন্দা তবে নেদারল্যান্ডসের টিইউ ডেলফট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত ২১ বছর বয়সের শিক্ষার্থী আলজান্দ্রো নুনেজ ভিসেন্তে। নুনেজ ভিসেন্তেকে উদ্ধৃত করে সিএনএন'র খবরে বলা হয়েছে, তিনি তার ইউরোপ জুড়ে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকেই এই নকশাটি করতে উদ্বুদ্ধ হন। বিশেষ করে লেগ রুম (পা রাখার জায়গা) নিয়ে তার বিরক্তিই এর প্রধান কারণ। উড়তে উড়তেই ভিসেন্তের মনে হতো, স্রেফ সামনের সিটগুলো একটু উপরে তুলে দিতে পারলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাথার উপরে লাগেজ রাখার কমপার্টমেন্টটি সিটের নিচে করে দিলেই সহজে সে জায়গাটুকুও বের হয়ে আসে।
নুনেজ ভিসেন্তের মতে, এই নকশা তার বিশ্ববিদ্যালয় টিইউ ডেলফট এখন যে ফ্লাইং-ভি উড়োজাহাজ তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সেটিতে এ ধরনের আসন বিন্যাস খুব সহজেই খাপ খাইয়ে যাবে। তবে বোয়িং ৭৪৭ এয়ারবাস এ৩৩০ অথবা যে কোনো মধ্যম থেকে বড় আকারের উড়োজাহাসেই এই রকম আসন বিন্যাস সম্ভব।
ফ্লাইং-ভি প্রজেক্টে তার টিমের অন্যরা এই আইডিয়াটি নিয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে এর প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে।
তার মতে, এই আসন বিন্যাস সম্ভব হলে যাত্রীদের জন্য তা বেশ আবেদনময়ীও হবে। নিচের সারিতে যারা বসবেন তারা স্রেফ লাউঞ্জে বসে থাকার মজা নিয়ে উড়তে পারবেন। আর উপরের স্তরে যারা বসবেন তারা মনে করবেন যেনো সুভ-এ করে যাচ্ছেন। এতে তারা পায়ের ওপর পা ফেলে ভ্রমণ করতে পারবেন।এছাড়া পীঠের স্বস্তি, ঘাড়ের স্বস্তি এসব দেবে বাড়তি আরাম। যা বর্তমান ইকোনমি ক্লাসে একেবারেই অসম্ভব।