করোনায় মুক্তিতে আমাদের কৃষি
সামছুল আলম সাদ্দাম
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ২৯ মে ২০২১ শনিবার
সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,, -কবি এই কথাটা বলার কারণ, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আর মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথম উপাদান অন্ন, তারপর বস্ত্র ,বাসস্থান, চিকিৎসা শিক্ষা । মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথম উপাদান অন্ন উৎপাদন করেন একজন কৃষক। কৃষক হাসলে হাসবে দেশ।
বাংলার প্রতিটি বিপদে এই কৃষি ছিল আমাদের ভরসার নাম। আজ যখন বিশ্ব অর্থনীতির চাকা থেমে গেছে। সব কিছুর সুঁচক নেমে গেছে তখনো আমাদের আশা এই কৃষি ও চাষা। বাংলার সোনা ফলা মাটি এটা বলতে পারবে তার সন্তারা না খেয়ে মরবে না। এবার ও কিন্তু বাম্পার ফলন বাংলাদেশে। করোনার কারণে হয়তো আবার প্রকৃতি পাবে এক বিশুদ্ধ রুপ। একটু ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবো ৭৪ সালে আমরা খাদ্যাভাবে পড়েছি। সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কোন খালি জায়গা রাখতে নিষেধ করেছিলেন। তার ফল ৭৫ এ ভালো ফসল হয়ে ছিল।এর পর আবার ৮৮ বন্যার পর দেশে ভালো ফলন হয়েছিল। ৯০ দশকে কৃষিতে এক বৈকল্পিক উন্নতি সাধিত হয়। প্রচলিত ধানের বদলে ইরি বিরি চলে আসে। বাড়তে থাকে ফলন একই জমিতে একাদিক আবাদ।
সরকারের অনেকগুলো ভালো পদক্ষেপের মধ্যে হচ্ছে কৃষিতে অধিক মনোযোগী হওয়ার যার কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এই অচেনা শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের কৃষি হতে পারে এক মুখ্যম অস্ত্র। আমাদের দেশে করোনার পর কি হবে? সেটা ভাবতে গেলে প্রথমে আসবে খাদ্য সমস্যা সমাধান করতে হবে। তার জন্য দরকার কৃষি।
এখন আমাদের দরকার হবে ব্যাপক ভাবে আবাদ করা। দেশের সকল মানুষ কে এগিয়ে আসতে হবে। বিপ্লবের মূল মন্ত্রহল ঐক্য। আমাদের কৃষি বিপ্লব দিবে মেহনতি মানুষের চুড়ান্ত মুক্তি। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা পেয়েছি। যখন উন্নত দেশের লোকেরা মানে রাষ্ট্র প্রধানেরা হাল ছেড়ে দেন, আকাশে দিকে তাকান। তখন মানব মুক্তি কথা বলেন আমাদের নেতা।
তাই তো সময় এসেছে কৃষিতে মনোযোগী হওয়ার।এটা প্রমানিত ক্রমাগত নানা পরিবেশ দূষনের মধ্যে আমাদের বেড় উঠা। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাই অনেক বেশি। আমাদের মনোবল ভালো। সর্বোপরি আমাদের মানবতা ও বিশ্ব শেরা। তাহলে কেন নয়। আমাদের কৃষির মত বিকল্প থাকতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আমরা জোর গলায় বলছি আমাদের আছে তৈরি পোশাক শিল্প কিন্তু দেখেন দেশে কিছু একটা হলেই তাদের মায়া কান্না শুরু। একটা মাস বা ৫ মাস নিজের টাকায় যে শিল্প চলতে পারে না তার উপযোগিতা ভাবতে হবে। আর আমাদের কৃষি? কৃষক তার আপন হাতে গড়ে চলছেন অপার মহিমায়।
কৃষক কখনো বলেনি আমার নুন্যতম মুজরি ঠিক কর। রোদে পুঁড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মনের সুখে চাষাবাদ করে। আজ পর্যন্ত কোন কৃষক তার ফসল নষ্ট করে আন্দোলন করেনি কিন্তু প্রচুর শ্রমিক তাদের কারখানা ভেঙেছে। আর তাই করোনা মোকাবিলায় কৃষি আমাদের একমাত্র বাঁচার পথ। কবির ভাষায়,বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে আবার এসে গাঁয়। সাত-সকালে ঝাঁপি মাথায় চাষী মাঠের দিকে ধায়।