১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খুলতে প্রস্তুতির নির্দেশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:২৫ এএম, ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার আপডেট: ০১:২৮ এএম, ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
**শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আরেকদফা বাড়লো, এবার ১২ জুন পর্যন্ত
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের বন্ধের ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে এবং টেলিভিশন ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে থাকার বিষয় অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে দেখভাল করবে।
অবশ্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার মানে এই নয় যে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার যদি কোনো তারিখ জানায়, তাহলে যেন প্রস্তুতি থাকে, সে জন্যই এই নির্দেশনা।
গত বছরও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রতি এ ধরনের নির্দেশনা জারি হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিস্থিতির বিবেচনায় স্কুল না খুলে ছুটি আরও বাড়ানোর ঘোষণা এসেছিল।
দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ক্লাস চলতে থাকে অনলাইনে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও সংসদ টিভিতে নেয়া হয় ক্লাস।
তবে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই শিক্ষণের এই প্রক্রিয়া থেকে দূরে রয়েছে বলে নানা জরিপে উঠে এসেছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সন্তানরা আদৌ পড়ালেখার মধ্যে আছে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন।
ধাপে ধাপে বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর পর ২৩ মে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা ছিল। তবে মার্চের শেষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত সব উলট-পালট করে দেয়। ৫ এপ্রিল থেকে ঘোষণা করা হয় লকডাউন। সেটিও বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা আছে।
আর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার চলমান সিদ্ধান্ত বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি) ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকরা পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে আছেন। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, এ বছর অটোপাস দেওয়ার ইচ্ছা সরকারের নেই।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য সরকারকে সুপারিশ করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।