এ বছর অটোপাস দেওয়ার ইচ্ছা সরকারের নেই

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি) ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয় সরকার। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকরা পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগে আছেন। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, এ বছর অটোপাস দেওয়ার ইচ্ছা সরকারের নেই। 

বুধবার (২৬ জুন) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

**১২ জুন পর্যন্ত আরেক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো

মন্ত্রী জানান, স্কুল-কলেজ খোলার পর ক্লাসে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারা সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাস করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করবে। অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা করবে সপ্তাহে এক দিন ক্লাস।

দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় বন্ধ বাড়িয়ে সেটি ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। 

২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল, কিন্তু সে সময় সংক্রমণের হার বেশি থাকায় সরকার তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অটোপাসের ব্যবস্থা করে সরকার। 

এর আগে সময় পিছিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা জুনে ও এইচএসসি পরীক্ষা আগস্টে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সে জন্য এসএসসির ৬০ দিন ও এইচএসসির ৮৪ দিন ক্লাস ধরে পরিমার্জিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করেছিল শিক্ষা বোর্ড। হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ ঘোষণার বাস্তবায়নও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।