ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাংলাদেশে কেন কম?
শেখ আনোয়ার
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ২৫ মে ২০২১ মঙ্গলবার আপডেট: ০১:২৫ পিএম, ২৫ মে ২০২১ মঙ্গলবার
টানা কয়েক দিন ধরে অহসনীয় গরমে অস্বস্তিকর টগবগে উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো গোটা বাংলাদেশ। দেশের সব বিভাগে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিলো। ক’দিন ধরে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলে আসছিলেন, ‘মৌসুমের ষষ্ঠ তাপপ্রবাহ চলছে। যার ফলে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ফলে উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সষ্টির আভাস পাওয়া যায়। আর সেটাই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এ রূপান্তরিত হয়ে এক পর্যায়ে শক্তিশালী সিভিয়ার সাইক্লোনে পরিণত হতে যাচ্ছে।’ বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস সত্যি হলো। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। তার ফলে তীব্র গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছেন দেশবাসী। তবে এখনো গরম পুরোটা কমেনি। থমথমে আকাশ। বৃষ্টি না হলেও রোদের তীব্রতা কম নেই। ইয়াস নামের ঘুর্ণিঝড়ের প্রতিক্রিয়া এখনো কাটেনি।
ঘুর্ণিঝড় কি?
সহজ ভাষায় বলা যায়, তাপ দিলে গ্যাসের আয়তন বাড়ে। বাতাস হ’লো কয়েকটা গ্যাসের মিশ্রন। মুলত: অক্সিজেন আর নাইট্রোজেনের মিশ্রণ। কোথাও যখন সূর্যের তাপের কারনে গরম পড়ে, তখন ঐ এলাকার বাতাসের ঘনত্ব কমে এবং আয়তন বেড়ে যায়। অপেক্ষাকৃত উষ্ণ বাতাস হালকা হয়ে ওপরে ওঠে যায়। বিপরীতে ওপরের ঠাণ্ডা বাতাস নিচে নেমে আসে। এতে বায়ুমণ্ডলের নিচের অংশে বায়ুর চাপ কমে যায়। তখন আশপাশের এলাকায় বাতাসে তারতম্য তৈরি হয়। এই বারতি বাতাসটা পাশের কোন একটা ঠান্ডা অঞ্চলে চলে যায়। বাতাসের চাপ সমান করতে সেখানকার আশপাশের অন্য কোন গরম অঞ্চলের বাতাস প্রবল বেগে ছুটে এসে শূন্যতাটা পূরণ করে। যে কারনে বাতাস বয়। আবার তাপমাত্রা কমলেও একই ঘটনা ঘটে। এক কথায় তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে বা খুব কমে গেলে খুব দ্রুত বাতাস বয়। আর আমরা তাকে ঘুর্ণিঝড় হিসাবে দেখি। সাধারণত সমুদ্রের উষ্ণপানির কারণে বায়ু উত্তপ্ত হয়ে সৃষ্টি হয় এসব ঘুর্ণিঝড়। বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘ঘূর্ণিঝড় বা ঘূর্ণিবাত্যা হলো ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটা নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া। যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এ ধরনের ঝড় বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়।’ বিভিন্ন সাগর বক্ষে ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়। যেমন, ইতিপূর্বের অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়- বুলবুল, ফণী ও আম্পানের নামকরণ হয়েছিলো। ঠিক তেমনি এবারের আম্পানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়- ‘ইয়াস’ নামটি রেখেছে ওমান।
ঘূর্ণিঝড়ের গঠন কেমন?
বিজ্ঞানীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা আবশ্যক। সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হলে ঘুর্ণিঝড় পর্যাপ্ত শক্তি পায় না। তাই দেখা যায়, সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির বেশী হলেই সেই অঞ্চলে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের পানি বাষ্পিভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। এসময় সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর একটি বায়ুশূন্য স্থানের সৃষ্টি হয়। সেই বায়ুশূন্যস্থানকে পূরণ করতে পারিপার্শ্বিক শীতল ও ভারী বাতাস সেই অঞ্চলে দ্রতবেগে ছুটে আসে। এই দ্রুত ছুটে আসা এই বাতাস ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দেয়। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানলে দুর্যোগের সৃষ্টি হয় বটে। কিন্তু এটি আবহাওয়ার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীতে তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে।
ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন খেলা
বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে। উঞ্চমন্ডলীয় সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় একটা উঞ্চ অন্তস্তল বিশিষ্ট লঘুচাপ তন্ত্র, যার চারিদিকে উঞ্চ ও আর্দ্র বায়ু উত্তর কাঁটার দিকে প্রচন্ডভাবে আবর্তিত হয়। এর ব্যস সাধারণত তিন’শ কিলোমিটার থেকে পনের’শ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এর কেন্দ্রাঞ্চল বা চোখ হালকা বাতাস ও হালকা মেঘ দ্বারা গঠিত। যার ব্যস কয়েক কিলোমিটার থেকে এক’শ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কেন্দ্রের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতি ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৩৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ঘুর্ণিঝড় সাধারণত দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ১৪০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংসের পূর্বে অবস্থিত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ব্যতীত সকল উঞ্চমন্ডলীয় সাগর বক্ষে সৃষ্টি হয়। এ সাগর বক্ষগুলো হলো ১. উত্তর ভারত মহাসাগর ২. দক্ষিণ পশ্চিম ভারত মহাসাগর ৩. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ৪. উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চল ৫. উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল ৬. দক্ষিণ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং অস্ট্রেলিয়ার এলাকা। উল্লেখ্য, বায়ুমন্ডলের অস্থিরতা মাপা হয় ভূপৃষ্ট এবং ৬ কিলোমিটার উচ্চতা পরিমাণ স্থানের সুপ্ত তাপমাত্রার পার্থক্য দ্বারা। এই পার্থক্য ১.৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকা থাকে। বাতাসের উল্লম্ব কুন্তন পরিমাপ করা হয় ১.৫ কিলোমিটার ও ১২ কিলোমিটার উচ্চতার বায়ুবেগের আনুভূমিক (পুর্ব-পশ্চিম) উপাংশের পার্থক্য দ্বারা। এই পার্থক্য ঘন্টায় ১৮ কিলোমিটারের কম হতে পারে। এর মান শুন্যের যতো কাছাকাছি হবে ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতাও ততো বেশি হবে। ট্রপোস্ফিয়ারের ৩ কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে বায়ুর গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০% এর বেশি না হলে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে না। তাই এর মান ৭০% এর যতো কাছাকাছি হবে ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতাও ততো বেশি হবে।
ঘুর্ণিঝড়ের শক্তি কি?
ঘুর্ণিঝড়ের শক্তি সৃষ্টি হয় সমুদ্রের বিশালতায়। সমুদ্রের বিশাল জলরাশিই ঘুর্ণিঝড়ের শক্তির সিংহভাগ সরবরাহ করে। আর ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আরো অনেকগুলো অনুকুল শর্তের প্রয়োজন হয়। এগুলোর মধ্যে ‘কোরিওলিস বল’ বায়ুমন্ডলের অস্থিরতা, বাতাসের উল্লম্ব কুন্তন, বায়ূমন্ডলের গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বায়ূমন্ডলের নি¤œস্তরে কেন্দ্রমুখী প্রবাহ এবং উচ্চস্তরে কেন্দ্রবিমুখী প্রবাহ ইত্যাদি অন্যতম। ‘কোরিওলিস বল’ হচ্ছে পৃথিবীর ঘূর্ণনজনিত বল বা অক্ষাংশের ফাংশন। বিষুব রেখায় এর মান শুন্য এবং পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে এর মান সবচেয়ে বেশি। উত্তর গোলার্ধে এ বল চলন্ত বস্তুর গতিপথের ডানদিকে বিক্ষেপ ঘটায়। এ বলের মান যতো বেশি হবে ঘুর্ণিঝড়ের মধ্যে বায়ুর ঘুর্ণন ক্ষমতা ততো বেশি হবে। ঘুর্ণিঝড়ের জন্য এর সংকট মান হচ্ছে অক্ষাংশের পরিমাণে ৫ ডিগ্রি উত্তর বা দক্ষিণ। অর্থাৎ বিষুব রেখার ৫ ডিগ্রির মধ্যে কোনো ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে না। ঘুর্ণিঝড়ের শক্তির উপর এর উপাধি দেওয়া হয়। যেমন- যে ঘুর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত হয় তাদের বলা হয় ট্রপিক্যাল সাইক্লোন। ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন ঘুর্ণিঝড়কে বলা হয় সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম। আবার ঘুর্ণিঝড়ের গতিবেগ আরেকটু বেড়ে ১১৮ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হলে তাকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ১৬৬ থেকে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ হলে ঘুর্ণিঝড়ের উপাধি হয় এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম। গড়ে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৮০ টি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। এর অধিকাংশই সমুদ্রে মিলিয়ে যায়। কিন্তু যে অল্প সংখ্যক উপকূলে আঘাত হানে তা অনেক সময় ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করে থাকে।
ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাংলাদেশে কম কেন?
উৎস, গঠন, আকৃতি ও আচরণের দিক থেকে সব উঞ্চমন্ডলীয় ঘুর্ণঝড় প্রকৃতপক্ষে একই। আমাদের বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের খুব নিকটবর্তী এবং পাশাপাশি একটি অংশ। বাংলাদেশ ও আশপাশ এলাকায় উঞ্চমন্ডলীয় সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় প্রধানত সৃষ্টি হয় প্রাক-বর্ষা, মধ্য-বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী মৌসুমে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু শুরুর সময় সাধারণত নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং এ মৌসুমে প্রায়ই ঘুর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এর কারণ মৌসুমী বায়ুর সময় বায়ূমন্ডলের বায়ূর উল্লম্ব প্রবাহ বেশি থাকে। এছাড়া বায়ূমন্ডলে অস্থিরতার পরিমাণও কম থাকে। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রতিবছর এ অঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড় ‘চ্যানেল’ হিসেবে বেছে নেয় ঠিক। তবে অন্যান্য সাগর বক্ষে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের তুলনায় বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা কিছুটা কম হয়। কেন কম হয়? গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্রে বঙ্গোপসাগরের উপকুল। যা ফানেল আকৃতির। এই ফানেলের নিকটবর্তী রয়েছে সুন্দরবন নামক প্রাকৃতিক অরণ্যের ঢাল। যা বাংলাদেশকে ঘুর্ণিঝড়ের শক্তি থেকে সুরক্ষা দিতে বুক পেতে দেয়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের সোপান অগভীর, উচ্চ জ্যোতির্জোয়ার এবং উপকুলের চারপাশ সমতল নিম্নাঞ্চল হওয়ায় সচেতনতা, সু ব্যবস্থাপনার অভাবে একযুগ আগেও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝড় ও জলোচ্ছাসে জীবন ও সম্পদ হানির পরিমাণ অনেকটা বেশি ছিলো।
দিন বদলে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি হওয়ায় দূর্যোগ পূর্বাভাসে সক্ষমতা বেড়েছে। মহাকাশে উড়ছে জয়বাংলা খচিত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’। সেখান থেকে দুর্যোগকালীন সময়ে সুবিধা নেওয়া যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ও সকল আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে অত্যাধুনিক নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে সঠিক ও সময়োচিত পূর্বাভাস দিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার প্রস্তুতি গ্রহণের সময় পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। এছাড়াও বাংলার মানুষের জানমাল রক্ষায়, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপকূলে ১৭২টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছিলেন। উপকূলের মানুষ এর নাম দেয় মুজিব কেল্লা। তারই আলোকে শেখ হাসিনা সরকার ইতোমধ্যে ৩৭৮টি মুজিব কেল্লা, আর ৩৮৬৮টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করে। আরও ১৬৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করার প্রস্তুতি চলছে। চলমান ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমরা আবার সবাইকে সতর্ক করছি। আরেকটা ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে। আর সেই বিষয়ে পূর্ব সতর্কতা আমরা নিতে শুরু করেছি। ইনশালাহ এতে আমরা সতর্ক থাকব, এই ঝুঁকি হ্রাস করতে পারব।” এভাবে রাস্ট্রীয় দিক-নির্দেশনা, সুশাসন, সুব্যবস্থাপনায় বর্তমান বাংলাদেশে ঘুর্ণিঝড়ে জীবন ও সম্পদ হানির পরিমাণ আগের চেয়ে বহুলাংশে কমে গেছে। এমনকি প্রাকৃতিক দূর্যোগে আজকাল অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ বিশ্বে শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাতেও রোল মডেলের সম্মান অর্জন করেছে।
লেখক: বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক।