ধর্মনির্বোধ রহিমরা ধর্ম ও রাষ্ট্র কোনটাই বোঝেন না
ধর্মনির্বোধ রহিমরা ধর্ম ও রাষ্ট্র কোনটাই বোঝেন না
প্রায় ৫০ বছর আগে এই ভূখণ্ড স্বাধীন হয়েছিল একটি উদার, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার আকাঙ্খায়। যদিও তার ২৩ বছর আগে ব্রিটিশরা যাওয়ার সময় ভারতীয় উপমহাদেশকে দুই ভাগ করে দিয়ে যায়। দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে ধর্মরাষ্ট্র পাকিস্তান। ধর্মের ভিত্তিতে গড়ে উঠলেও পাকিস্তান ছিল একটি অবাস্তব রাষ্ট্র। এর দুই অংশে ভৌগোলিক দূরত্ব ছিল এগারোশ মাইল আর মানসিক দূরত্ব ছিল অলঙ্ঘনীয়। ধর্ম দুই পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সেতু গড়তে পারেনি। ভারত এখন পৃথিবীর অন্যতম বড় অর্থনীতি, আর রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের গিট্টু লাগানো পাকিস্তান প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্র। ভারতেও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার যত বাড়ছে, অর্থনীতিও তত দুর্বল হচ্ছে। সবসময় ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখাই মঙ্গলজনক।
রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী আদর্শ থেকে বেরিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়েই গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৫০ বছরে কতটা এগুলাম, নাকি পিছালাম; সেই হিসাব-নিকাশ করতে বসলেই মন খারাপ হয়ে যায়। অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তানকে তো ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। সম্প্রতি আইএমএফ’এর এক প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, এ বছর মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এসব অর্জন আমাদের গর্বিত করে। কিন্তু কেন জানি মনে হয়, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ধর্মনিরপেক্ষ ধারণা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কি?
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও কিছু লোক পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলেও বাংলাদেশ বিরোধী পাকিস্তানপন্থি সেই ধারাটি বিলীন হয়ে যায়নি। বরং সময়ের বাস্তবতায় কখনও কখনও সন্দেহ জাগে সেই ধারাটি কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে! তবে এখনও বাংলাদেশের মূল ধারাটি অসাম্প্রদায়িকই। আর এই ধারাটিকে দুর্বল করে পাকিস্তান ভাবধারাকে এগিয়ে নিতে একটা রাজনীতি চলছে অনেকদিন ধরেই। কখনো সামরিক সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে, এমনকি গণতান্ত্রিক সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাম্প্রদায়িক সরকারের সাথে আপস করেছে। আপসের পথ বেয়ে সেই ধারাটি এখন আরো শক্তিশালী, আরো বেপরোয়া। এই ধারাটির দাপটে সংবিধানে এখন ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে, রাষ্ট্রধর্মও আছে। আশির দশকে স্বৈরাচার এরশাদ যখন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিল, তখন এর প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিল হয়েছে। যারা তখন প্রতিবাদ করেছে, তারাই এখন ক্ষমতায়। কিন্তু বহাল আছে রাষ্ট্রধর্মও। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রধর্মের বিরোধিতার করার জোর কমে গেছে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির।
শুরুতেই একটা বিষয় পরিস্কার করা দরকার। বাংলাদেশে একটি মহল ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা বলে প্রচার করে। মুক্তমতকে বলে নাস্তিক্যবাদ। এটা হলো মানুষের বিশ্বাসকে দমনের অপকৌশল। ধর্মনিরপেক্ষেতা মানে মোটেই ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হলো, সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে, কেউ কাউকে বাধা দেবে না। রাষ্ট্র মানুষের ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মাথা ঘামাবে না। মুক্তমতের সাথেও ইসলামের তো বটেই, কোনো ধর্মবিশ্বাসেরই কোনো বিরোধ নেই। যার যার বিশ্বাস তিনি ধারণ করবেন, কাউকে বাধা না দিয়ে। একজন মানুষের ধর্ম বিশ্বাস করার যেমন অধিকার আছে, ধর্ম বিশ্বাস না করারও অধিকার থাকা উচিত। খালি আমি চাইবো আমার বিশ্বাসে যেন কেউ আঘাত না করে। যে কোনো মানুষ তার ধর্ম, তার বিশ্বাসকেই শ্রেষ্ঠ মনে করবে। শ্রেষ্ঠ মনে করেন বলেই, তিনি সেটা ধারণ করেন। কিন্তু নিজের ধর্ম শ্রেষ্ঠ, তাই বলে আপনি আরেকজনের ধর্মকে খাটো করবেন না, হেয় করবেন না। মানুষে মানুষে, ধর্মে ধর্মে, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সম্পর্কটা হতে হবে পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে; ঘৃণায় বা বিদ্বেষে নয়।
সভ্যতার সৌন্দর্য্যই হলো বৈচিত্র্যে। কোনোদিন পৃথিবীর সব মানুষ খ্রিস্টান হবে না, কোনোদিন সব মানুষ মুসলমান বা হিন্দুও হবে না। আমি যুক্তি দিয়ে আমার বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা সেটা চাপাতি দিয়ে করতে চাই। আপনি পছন্দ করুন আর নাই করুন, আশির দশকে আমরা অনেক নাস্তিককে চিনতাম। কিন্তু এখন আর ভয়ে কেউ নিজের বিশ্বাস প্রকাশ করেন না। আমি পছন্দ নাই করতে পারি, কিন্তু একজন মানুষের ধর্ম বা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস বেছে নেয়ার অধিকার থাকা উচিত। সমস্যা হলো আমাদের সব পক্ষই মৌলবাদী। যারা বিশ্বাসী তারা তো চরম মৌলবাদীই, যারা নিজেদের মুক্তমনা দাবি করেন, তারাও অন্যের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে চান না। আমি অনেককে চিনি বা ফেসবুকে দেখি; তাদের যেন একমাত্র কাজই ইসলাম ধর্মকে হেয় করা, মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে উগ্র প্রমাণ করা। আমাদের লড়াইটা চালাতে হবে, একটা সহনশীল সমাজ গঠনের, যে সমাজ সব মতকে ধারণ করতে পারবে, সব মানুষের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।
ঐতিহ্যগতভাবে এ অঞ্চল কিন্তু সহনশীলতারই চর্চা করে এসেছে। হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বছরের পর বছর ধর্ম চর্চা করে এসেছে। শীতকালে গ্রামবাংলায় ওয়াজের আওয়াজ যেমন আসতো, বাতাসে ভাসতো গানের সুর বা যাত্রার সংলাপও। কিন্তু ধীরে ধীরে সাংস্কৃতিক চর্চাগুলো বন্ধ হয় গেছে। বিস্তার ঘটেছে অশ্লীল আর উস্কানিমূলক ওয়াজের, যার সাথে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
ধর্মের নামে অসহষ্ণিুতার শেকড় আমাদের অনেক গভীরে পৌছে গেছে। নইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, যিনি নিজে আবার একজন চিকিৎসকও, তিনি কী করে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ড্রেসকোড ঠিক করে দিতে পারেন। আমি জানি আপনারা সবাই, এতক্ষণে নোটিশটি পড়ে ফেলেছেন। তবুও লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় আবারও উল্লেখ করছি, ‘অত্র ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’ অবশ্য পরিচালক সাহেবের নির্দেশ মানার সময় পাননি তার কর্মীরা। একদিনের মধ্যেই সরকারের শোকজ পেয়ে পল্টি মেরেছেন তিনি। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নোটিশ প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু তার ক্ষমা যে চাকরির ভয়ে, তার মানসিকতা যে বদলায়নি, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না, কারণ দিনভর তিনি তার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাংবাদিকদের সাথে রীতিমত লড়াই করেছেন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিম দাবি করেছেন, ‘ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। টাকনুর ওপরে যদি পুরুষ কাপড় পড়ে তাহলে তার কোনও গুনাহ নাই, টাকনুর নিচে পরলে সে কবিরা গুনাহ করলো। একইভাবে নারীদের জন্যও সেটা প্রযোজ্য, নারীরা পর্দার ভেতরেই সুন্দর। টাকনুর নিচে কাপড় পরলে তার কবিরা গুনাহ হবে না। এই জিনিসটা আমাদের দেশে উঠে গেছে।’ তিনি দাবি করেন, 'আমি আমার অফিসের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের দেশ মুসলিম কান্ট্রি, আমাদের দেশে, আমার অফিসে যদি এভাবে সজ্জিত হয় আমার কাছে ভালো লাগবে।’ তার কথা শুনে মনে হচ্ছে না তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, বরং তাকে বিভ্রান্ত ধর্মযাজক মনে হচ্ছে। পরিচালক সাহেব সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'আপনাদের সাংবাদিকদের অনেকেই গেছেন, পুলিশ গেছেন, ডাক্তার গেছেন- হেন পেশা নাই যে পেশাকে করোনা আক্রমণ করেনি, কিন্তু কয়জন ইমাম-মুয়াজ্জিন মারা গেছেন?'
একজন ডাক্তার হয়েও তিনি যদি মনে করেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা করোনায় কম আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে সেটা বড় দুর্ভাগ্যজনক। মাথাভর্তি দুর্গন্ধ নিয়ে চলা এই ডাক্তারকে অবিলম্বে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হোক। দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রস্তুত হচ্ছে, তখন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক মনে করছেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে করোনা হয় না! তাহলে আর করোনা ঠেকাতে হাসপাতাল-ডাক্তারদের তৈরি না রেখে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঠে নামিয়ে দিলেই হয়।
ডা. রহিমের এই আদেশ আমাকে শঙ্কিত করেছে। তার ক্ষমা চাওয়ার পরও শঙ্কাটা যায়নি। আমি জানি, ডা. রহিম বদলাননি, বদলাবেনও না। তারচেয়ে বড় কথা আমাদের চারপাশে ডা রহিমের মত বিপদজনক চিন্তার আরো অনেক লোক আছে। বাংলাদেশে ইদানীং কিছু হলেই কাউকে জামাত-শিবির ট্যাগ দেয়া হয়। আমি নিশ্চিত না হয়ে কাউকে কোনো দলের ট্যাগই দেই না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এই রহিম অবশ্যই জামাত-শিবিরের লোক। ছাত্রজীবন থেকেই দেখেছি, টাকনু নিয়ে শিবির ছাড়া আর কারো মাথাব্যথা নেই। এই রহিমদের ঠেকানোর জন্যই আমি সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার পক্ষে। কোটা না থাকলে, মেধার সুযোগে রহিমরা দলে দলে সরকারি চাকরিতে ঢুকে পুরো দেশটাকে তাদের স্টাইলে চালাতে চাইবেন। আপনি শোকজ করে কয়জনকে আটকাতে পারবেন? তারচেয়ে উৎসমুখেই সাম্প্রদায়িকতা আটকাতে হবে। সরকারি চাকরির জন্য যোগ্যতার পাশাপাশি আদর্শটাও জরুরি। যিনি বাংলাদেশে চাকরি করবেন, তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের পক্ষের লোক হতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাকে ধারণ করতে হবে। পশ্চাতপদ মাসসিকতার, পাকিস্তানী ভাবধারার কারো বাংলাদেশে চাকরি করে জাতিকে কলুষিত করার অধিকার নেই।
ডা. রহিমের মাথাটা যদি পরিস্কার হতো, তাহলে তিনি বুঝতেন, এ আদেশ দেয়ার ক্ষমতা তার নেই, নিজস্ব স্টাইলে অফিস চালানোর অধিকারও তার নেই। এটা বেআইনী। সরকার যেখানে কোনো পোশাক নির্ধারণ করেনি, সেখানে তিনি তার অফিসে এটা চাপিয়ে দিতে পারেন না। তাছাড়া পোশাক চাপিয়ে না দেয়ার ব্যাপারে হাইকোর্টের আদেশও আছে। হাইকোর্টের আদেশ বা প্রচলিত আইনের কথা বাদ দিন; ধর্মেও কিন্তু কোনো জবরদস্তির কথা বলা নেই। পোশাক হলো একজন মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ, রুচি, স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপার। একটা সভ্য সমাজে সুস্থ মানুষেরা শালীন পোশাক পরবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি নারী হোন, পুরুষ হোন; যে ধর্মেরই হোন। ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা শেখায়, শালীনতা শেখায়, শৃঙ্খলা শেখায়। কিন্তু আমরা ধর্মের ভালোটা না শিখে চাপিয়ে দেয়া, উগ্রতা, নিষ্ঠুরতাকেই ধর্ম মনে করি। লালমনিরহাটে একজন উন্মাদকে যারা পিটিয়ে মারলো তারা বদ্ধ উন্মাদ। ধর্ম তাদের মানুষ বানাতে পারেনি, পশু বানিয়েছে। ডা. রহিমের মত মানুষেরাই সেখানে একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। ধর্মের নামে এই উন্মাদনা বন্ধ করতে হবে। ধর্মের সৌন্দর্য্যটা যেন আমরা অনুভব করতে পারি। ধর্ম যেন আমাদের উন্মাদ না করে, হিংস্র না করে।
এক যুগ ধরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। কিন্তু নির্বিঘ্নে ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগও এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির সাথে আপস করে চলছে। যদিও আওয়ামী লীগ এটাকে আপস না বলে কৌশল বলছে। কিন্তু তাদের এই কৌশলের কারণে বেগবান হচ্ছে আওয়ামী বিরোধী সাম্প্রদায়িক ধারাটিই। ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচন, জনগণ, ভোট কিছুকেই পরোয়া করে না; তাহলে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোয়াজ করতে হবে কেন। দেশের স্বার্থে, আওয়ামী লীগের নিজেদের স্বার্থে, সবচেয়ে বড় কথা হলো ইসলাম ধর্মের স্বার্থে এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির রাশ টেনে ধরতে হবে। এদের অসহিষ্ণুতা, উগ্রতা, নিষ্ঠুরতা শান্তির ধর্ম ইসলাম সম্পর্কেই মানুষের মনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে। ইসলামের স্বার্থেও এদের ঠেকাতে হবে।
প্রভাষ আমিন, বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ
৩০ অক্টোবর ২০২০
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১: জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’
- সুনীল অর্থনীতি ও রূপকল্প-২০৪১
- শিক্ষার ধরন ও বেকারত্ব: দেশে অশিক্ষিতদের চেয়ে শিক্ষিত বেকার ৩ গুন
- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়
- ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস-১৯৬১ ও দ্বিপক্ষিয় কূটনীতিক সম্পর্ক
- মিডিয়ার শক্তি বা আসক্তি: ম্যাজিক বুলেটের বাকের ভাই ও বদি
- গণমাধ্যমে গণরুচির বিকার
- হালকা বিনোদনের প্রাধান্যে সংস্কৃতির অবনতি
- বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণার দিন শেষ, চার উপায়ে মধ্য আয়ের দেশ