শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পরিচয়পত্র বাহাস ও ভিডিয়োচিত্রে এক মিডিয়া ট্রায়াল

কবির য়াহমদ, সাংবাদিক ও লেখক

০৪:২৯, ২০ এপ্রিল ২০২১

১২৪১

পরিচয়পত্র বাহাস ও ভিডিয়োচিত্রে এক মিডিয়া ট্রায়াল

কবির য়াহমদ
কবির য়াহমদ

ইউনিফর্ম পেশার পরিচিতি স্মারক। কারও গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম দেখলে কেউ জিজ্ঞেস করে না- আপনি কি পুলিশ? কেউ তখন বলে না- দেখান দেখি আপনার আইডি কার্ড! এটাই রীতি। এমনই অন্য পেশার পরিচিতি স্মারক নিয়েও বেশিরভাগ সময়ই প্রশ্ন ওঠে না। প্রশ্ন না ওঠার কারণ মূলত পেশার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং পোশাকে পরিচিতি। পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত কাউকে দেখে কেউ যদি পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বা তাকে হেনস্তা করতে উদ্যত হন তখন সেটা সমালোচনার উপলক্ষ। অবশ্য পুলিশের প্রতি মানুষের সহজাত ভীতি থেকে ইউনিফর্ম পরা কোন পুলিশ সদস্যের পরিচয় কেউ জানতে চায় না। এতে ভীতি মুখ্য, অথচ সম্মানের প্রসঙ্গ এখানে জড়িত থাকার কথা ছিল।

পুলিশ জনগণের বন্ধু, এমনটাই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু জনগণ পুলিশকে বন্ধু ভাবে না। এখানে জনগণের দায় নেই, কারণ পুলিশ নিজেদের জনতার বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। এ সাধারণীকরণ বার্তা যদিও তবু এরবাইরে কিছু ব্যতিক্রম আছে। বলে রাখি ব্যতিক্রম উদাহরণ হতে পারে, তবে সেটা সর্বক্ষেত্রে বাস্তবতা নয়।

করোনা মহামারির সময়ে পুলিশ জনগণের কাছাকাছি গেছে। জনতার বন্ধু হিসেবে বিভিন্ন দুর্যোগে দুর্বিপাকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে। কিছু ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে। তাদের এই সাফল্য আলোচিত হয়েছে, অভিনন্দিত হয়েছে নানা মহলে। পুলিশের এই জনসেবাধর্মী কার্যক্রমগুলো তাদের পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পড়লেও মানুষ উদারচিত্তে প্রশংসায় ভাসিয়েছে। এই প্রশংসা তাদের কাজে সহায়ক হবে বলে ধারণা করেই মানুষ প্রশংসা করেছে। কিছু ক্ষেত্রে এর ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে সেই প্রশংসা তাদেরকে অহঙ্কারি করে তুলেছে। করোনা মহামারিতে বিশ হাজার পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত একানব্বই জন। এই সংখ্যা তাদের দায়িত্ব পালনের স্মারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা থাকলেও অতি-উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তার নানামুখী দাবিতে এটা অহং রূপে প্রকাশ পাচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের নামে লকডাউনে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা শ্রেণিপেশার বিশেষত করোনা মহামারির সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত চিকিৎসকদের নিগ্রহে জড়িত হয়ে পড়েছেন। সর্বাত্মক লকডাউনের সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকদের মুভমেন্ট পাসের নামে হয়রানি করছেন। এনিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনার পর চিকিৎসকসহ কয়েকটি পেশার মানুষদের মুভমেন্ট পাসের দরকার নেই বলে সরকার ঘোষণা করেছে। তবু থেমে নেই পুলিশের হয়রানি।

গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে একদল পুলিশ ও একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসককে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা হতাশাজনক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনীর গাড়ি আটকে পরিচয় জানতে চাওয়ার নামে তাকে অপদস্থ ও অপমান করা হয়েছে। নিজ গাড়িতে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগানো, নিজের নাম লেখা, চিকিৎসক গাউন পরা এবং নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে আক্রমণাত্মকভাবে জেরা করে হেনস্তা ও উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। এতগুলো পরিচয় দেওয়ার পরও কেবল মুভমেন্ট পাস ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্রের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে আচরণ করেছে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এই ঘটনার একটা ভিডিয়োচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার মাঝপথ থেকে ধারণ করা ওই ভিডিয়োচিত্রে ওই নারী চিকিৎসককে তার পরিচয় দিতে দেখা গেছে। তবু একদল পুলিশ সদস্য বারবার তার পরিচয়পত্র দেখতে চান। ওই চিকিৎসক তার গাড়িতে প্রতিষ্ঠানের মনোগ্রাম সম্বলিত স্টিকার, প্রত্যয়নপত্র থাকার কথা জানালেও নাছোড়বান্দা পুলিশ সদস্যরা তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পরিচয়পত্র চান। পরিচয়পত্র সঙ্গে না রাখা ওই চিকিৎসক একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে ভিডিয়োচিত্রে দেখা যায়। পুলিশ সদস্যরাও তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে কটূক্তি করেন। তাকে বিতর্কিত ও বহিস্কৃত যুব মহিলা লিগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গেও তুলনা করেন পুলিশ সদস্যরা। অনন্যোপায় চিকিৎসক এক পর্যায়ে নিজের বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে সামনে আনেন। জানান তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার বাবা একজন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা। চিকিৎসকের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয় পেয়ে কোন এক পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য করে নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করেন। এক পুলিশ সদস্যের দাবির সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অপরাপর জনেরাও নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এ যেন এক প্রতিযোগিতা! সব পুলিশের বাবা মুক্তিযোদ্ধা!! অবাক কাণ্ড!!!

দৈনিক আমাদের অর্থনীতির ডেপুটি এডিটর আহমেদ রাজু এই ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুকে লিখেছেন- ‘‘একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি। আপনি শুধু প্রকাশিত ভিডিওটা দেখেছেন। আগের ঘটনা দেখেননি। এমনি এমনি কেউ উত্তেজিত হন না। তাকে প্রভোক করা হয়েছে। তিনি একজন সম্মানিত মহিলা। অনেকে না জেনে ওই নারী ডাক্তারকে গালাগাল করছেন। বেয়াদব বলছেন। পুরো ঘটনা না জেনে এইভাবে কাউকে বেয়াদব বলাটাও সমীচীন নয়। তার কাছে বিএসএমএমইউর পরিচালকের লিখিত পাস ছিলো। গাড়িতে ইউনিভার্সিটির অনুমোদনকৃত স্টিকার ছিলো। অ্যাপ্রোনে নাম লেখা মনোগ্রাম ছিলো। তিনি সহযোগী অধ্যাপক বলেও পরিচয় দিয়েছেন। আর কী পরিচয় লাগবে? কিন্তু এগুলোকে পুলিশ ভুয়া বলেছে। তাকে ফ্রড বলেছে। আচ্ছা, বলুন তো— কারও পরিচয় যাচাই না করেই তাকে ফ্রড বলা যায়? কাগজ ভুয়া বলা যায়? পাপিয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়? তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়েছেন অনেক পরে। তার আগেই অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমার কাছে যেটা সত্য মনে হয়েছে—একজন বিবেকবান হিসেবে তাই বলেছি। আপনার বিবেক যা সত্য বলবে—আপনি তাই বলবেন।’’

ফেসবুকে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেখানে ঘটনার শুরুর অধ্যায়টুকু নেই। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একটা অংশ থেকে এই ভিডিয়োচিত্র ধারণ করা। অর্থাৎ এটা প্রতিক্রিয়ার অংশ, মূল ঘটনা নয়।

এই ঘটনা আমাদের চিকিৎসক সমাজ ও পুলিশ বাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঘটনার তদন্ত না করেই ডা. সাঈদা শওকত জেনীকে দায়ী করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে। বিবৃতিতে একতরফাভাবে তারা বলছে, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের প্রতি জনৈক চিকিৎসক কর্তৃক এহেন অপেশাদার ও অরুচিকর আচরণে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত মর্মাহত।…একজন গর্বিত পেশার সদস্য হয়ে অন্য একজন পেশাদার বাহিনীর সদস্যদের প্রতি কটাক্ষ বা অসৌজন্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।’ পুলিশের দাবি করোনাকালে এই বাহিনী ‘সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ’ করেছে। কেবল পুলিশই নয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) নামের চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে। তারা ডা. জেনীকে ‘অপদস্থ ও অপমানের’ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দায়ী পুলিশ সদস্যদের শাস্তিও দাবি করেছে। এজন্যে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে চিঠিও দিয়েছে। ধারণা করা হয়ে বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতির এই চক্রে পুলিশবাহিনী ও চিকিৎসক সমাজ মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে। অথচ এখানে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন ও চিকিৎসকদের সংগঠনগুলো এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করতে পারত; তদন্তের কথা বলতে পারত, দোষী কেউ হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির আশ্বাস দিতে পারত; কিন্তু তারা সেটা করেনি।

চলমান লকডাউনে চিকিৎসকদের প্রতি পুলিশের যে ভূমিকা সেটা কোনোভাবেই ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে না। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই পুলিশ নানাভাবে চিকিৎসকদের হয়রানি করে আসছে। ডা. জেনীর সঙ্গে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সেই আচরণের দিনই একই এলাকায় আরেক চিকিৎসক দম্পতি পুলিশের অন্যায় আচরণের শিকার হন। হাসপাতালে চিকিৎসককে দিয়ে গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের হেনস্তার শিকার হন তার গাড়িচালক। কর্মক্ষেত্রে যাওয়া চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চিকিৎসক ফোনে এর প্রতিবাদ করলে তাকে কারাগারে নেয়ার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। গাড়িটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কামরুন নাহার মুক্তা ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার এনামুল কবির খানের। ডা. মুক্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ড্রাইভারকে আমার আইডিকার্ড দিয়ে দিই। পুলিশ আমার আইডিকার্ড দেখানোর পরেও সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেয়। এমনকি বেশি কথা বললে ছয় মাসের জেল দেয়ার হুমকি দেয়।’ ভাবা যায়, কতখানি বেপরোয়া পুলিশ সদস্যরা? যে চিকিৎসকেরা করোনা মহামারির সময়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে রোগী সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন তাদের প্রতি পুলিশের এই আচরণ কেন? এমন অবস্থায় চিকিৎসকেরা কীভাবে রোগী সেবা করবেন যেখানে তাদের চলাচলে পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ বাহিনী।

পুলিশ সদস্যরা কেন এত বেপরোয়া, এর জবাব কী? কেউ জানে না। তবে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকেরা যেখানে সারাবিশ্বে স্বীকৃত এবং এখানেও স্বীকৃত এই স্বীকৃতি কি পুলিশ বাহিনীকে বিব্রত করছে? প্রশ্নটা অযৌক্তিক হলেও প্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে যখন পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন তাদের বিবৃতিতে দাবি করছে- ‘মহান মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিশেষত চলমান বৈশ্বিক মহামারির এই দুঃসময়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সর্বজন স্বীকৃত’। এছাড়াও ডা. জেনীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা করোনার সময়ে তারা কী করেছেন তারও ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন! এটা কি তবে ক্রেডিট নিয়ে কাড়াকাড়িজনিত কিছু পুলিশের পক্ষ থেকে?

যাই হোক, পেশাগত পরিচয়, প্রতিষ্ঠানের পরিচয়, প্রতিষ্ঠানের নামাঙ্কিত পোশাক, প্রতিষ্ঠানের স্টিকার থাকার পরেও পুলিশ সদস্য ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কেবল পরিচয়পত্রের জন্যে উত্যক্ত করা ঠিক হয়নি। ওই চিকিৎসক নিজের পেশাগত কার্ড সঙ্গে না রাখার ভুলের কারণে তাকে ভুয়া চিকিৎসক, বিতর্কিত একজন নারী ব্যবসায়ী রাজনীতিকের সঙ্গে তুলনা করা কেবল অনুচিতই নয় এটা অশোভন আচরণ। দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যদি চিকিৎসকের পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ হয় তবে তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এবং বিএমডিসির নিবন্ধন নাম্বার জেনে সেখানে যাচাই করতে পারতেন। এটাই হতো যথাযথ উপায়, অথচ সেটা তারা না করে একজন নারী চিকিৎসককে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে হয়রানি করেছেন, চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে ঘটনা অনেক দূর যাওয়ার পর তার ভিডিয়োচিত্র ধারণ ও প্রচার করে অথবা করতে দিয়ে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। আংশিক ওই ভিডিয়োচিত্র ধারণে এখানে যদি কোনো সাংবাদিক জড়িত থাকেন তবে তিনিও সঠিক কাজ করেননি।

ঘটনার খণ্ডাংশ নিয়ে প্রচারিত ভিডিয়োচিত্রে দেখা যায় ডা. সাঈদা শওকত জেনী পুলিশ সদস্যদের ‘তুই-তোকারি’ করেছেন, ‘হারামজাদা’ বলেছেন, ‘দেখে নেবেন’ বলেও হুমকি দিয়েছেন। এই শব্দ-বাক্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিভক্ত করেছে। স্রেফ এই কথাগুলোর কারণে অনেকেই ডা. জেনীকে একপাক্ষিকভাবে দোষারোপ করছেন। অথচ এটা মূল ঘটনা নয়, এটা মূলত ঘটনার প্রতিক্রিয়া। এখন আমরা কি ঘটনা নিয়ে কথা বলে অহেতুক হয়রানি ও হতাশার সমাপ্তির পথ খুঁজব, নাকি স্রেফ প্রতিক্রিয়া নিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে একপাক্ষিকভাবে কাউকে দোষী করেই যাব?

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank