আওয়ামী লীগের ইশতেহার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রা
আওয়ামী লীগের ইশতেহার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রা
আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের ইশতেহারের শিরোনাম ছিলো ‘দিন বদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’, ২০১৮ সালের ইশতেহারের শিরোনাম ছিলো ‘সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। ২১টি বিশেষ অঙ্গীকারে ছিলো এটিতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবারের ইশতেহারের শ্লোগান- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা, দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ এবং যুব সমাজকে সম্পৃক্ত রাখা, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, ঋণ-কর-বিলখেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় এনে তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশ্রতি দিয়েছে দলটি। এছাড়া গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা।
২৭ ডিসেম্বর এ ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত নির্বাচনি ইশতেহারের চুম্বক অংশ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ইশতেহারে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তি সক্ষমতা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ‘স্মার্ট নাগরিক’, ‘স্মার্ট সরকার’, ‘স্মার্ট অর্থনীতি’ ও ‘স্মার্ট সমাজ’-এই চারটি স্তম্ভের সমন্বয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দেওয়া। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজের কথা উল্লেখ করা হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ১১টি বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে তা হলো-দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া; কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা; আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা; লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো; ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; নিম্নআয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা; সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
রাষ্ট্র পরিচালনার জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে : মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে আওয়ামী লীগ সদা তৎপর উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদই পারে কেবল জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে। নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা আরও সুদৃঢ় করার কথা বলা হয়েছে।
সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে: আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সামাজিক বৈষম্য নিরসন করে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। যেখানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
সাংবাদিকদের জন্য দশম ওয়েজবোর্ড : ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা যাতে নির্যাতন, ভয়ভীতি-হুমকি, মিথ্যা মামলার সম্মুখীন না হন তার ব্যবস্থা করা হবে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ব্যক্তির গোপনীয়তা ও তথ্য সংরক্ষণ করা হবে এবং অপব্যবহার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিকদের জন্য দশম ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলমান বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় সাংবাদিকদের আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তাকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থাকবে : মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার সব সময়ই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নত, মানবিক ও জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে কাজ করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি প্রদান করা হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি : শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটনে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল ও দুর্নীতি রোধে করণীয় বিষয়ে অধ্যায় সংযোজন করা হবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবিধানের প্রাধান্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন সুনিশ্চিত করা হবে।
ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা : প্রশাসনিক সংস্কার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার ভূমিসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধানের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ৬১টি জেলায় ১ জুলাই ২০১৯ থেকে শতভাগ ই-নামজারি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাজার ব্যবস্থাপনা ও মূল্যস্ফীতি : আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে ঘোষণা করেছে-বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সংগতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেসব পণ্যের বাজার দেশীয় উৎপাদন ও সরবরাহকারীর ওপর নির্ভর করছে, সেগুলোর নায্যমূল্য প্রতিষ্ঠা করা এবং ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ উদ্যোগ থাকবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইন প্রয়োগ : কর্মোপযোগী প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ সম্প্রসারণ করা হবে। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে অনিশ্চয়তা লাঘব করবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং এক্ষেত্রে ব্যাংক যাতে বিধিনির্ধারিত সঞ্চিতি (রিজার্ভ) রাখে তা নিশ্চিত করা হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব অব্যাহত রাখবে এবং যুক্তিসঙ্গত ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ ব্যবহার করবে।
দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে : আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমন, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয় রোধ, ঋণ-কর-বিলখেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান এবং তাদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে, চরম দারিদ্র্যের অবসান এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
গ্রামে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা : নির্বাচিত হলে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রæতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সব সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অব্যাহত থাকবে।
কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে : সরকার কৃষির জন্য সহায়তা ও ভর্তুকি তথা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি উপকরণে বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। ব্যবহারযোগ্য কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্য করা হবে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত থাকবে। বাণিজ্যিকভাবে দুগ্ধ, পোলট্রি ও মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠা, আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সহজ শর্তে ঋণ প্রয়োজনীয় ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে।
ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হবে : ইশতেহারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছে সেগুলো হলো নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা; বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ভাড়াভিত্তিক ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বন্ধ (রিটায়ারমেন্ট) করা; পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে : নৌপথ, সড়কপথ, রেলপথ ও বিমানের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। নিরাপদ যোগাযোগব্যবস্থা রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত উন্নত করা হবে। সুনির্মিত ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত পরিবহণ অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে। ২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সড়ককে নিরাপদ করার জন্য একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়বে : শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়বে এবং তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষকের অনুপাত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভাষা, উচ্চতর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য উপযুক্ত ল্যাবরেটরি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। দরিদ্র ও দুর্বলতর জনগোষ্ঠীর সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ আরও প্রসারিত করা হবে।
প্রত্যেক নাগরিকের ইউনিক হেলথ আইডি : কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে একটি ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান এবং হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করা হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি : নারী উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং শ্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।
শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী গড়ে তোলার কাজে ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’-এর কার্যকর ভূমিকা সম্প্রসারিত হবে।
বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার : পথশিশুদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ আবাসন, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু সদন প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের কর্মসূচি কার্যকর ও প্রসারিত করা হবে। অটিস্টিক শিশুদের জন্য গৃহীত বিশ্বে সমাদৃত কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অসংগতি দূর অব্যাহত থাকবে : নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অসংগতি দূর এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করার কাজ অব্যাহত রাখা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতি এবং তাদের জন্য যেসব কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেগুলো অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটদানে উৎসাহিত করা হবে : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা যাতে তাদের জন্য উপযোগী পরিবেশে শিক্ষা লাভ করতে পারে সে ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সরকারি পরিষেবার দপ্তরগুলো প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসাবে রূপান্তরের কাজ অব্যাহত থাকবে।
সব সরকারি হাসপাতালে জেরিয়াট্রিক সেবা চালু : প্রবীণ নাগরিকদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সমতা অর্জনে এবং তাদের কল্যাণে উন্নত ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে জেরিয়াট্রিক সেবা প্রচলনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন : সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আবশ্যক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।
জলবায়ু পরিবর্তন : জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা, দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা এবং পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার যেসব নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
উন্নত দেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে : দেশের সার্বিক উন্নয়ন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। আর তাই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কানাডা এবং অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে।
আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ, ট্রানজিট, জ্বালানি অংশীদারত্ব এবং ন্যায়সংগত পানিবণ্টনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতাও অব্যাহত রাখবে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্থায়নের ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ করবে।
আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে নতুন তৎপরতা চালিয়ে যাবে সরকার। এটি সাহায্য করবে বাজার সম্প্রসারণে। অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গেও উন্নত-ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে
।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতি নয়, কাজে বিশ্বাসী যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা বাস্তবায়ন করে। ১৫ বছরের সরকার পরিচালনায় ভুল-ত্রæটির দায়ভার আমার। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি কিন্তু বাবা ও আপনাদের কথা ভেবে পিছপা হইনি দলের নির্বাচনি ইশতেহারে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ গড়ার অঙ্গীকার করে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব। নির্বাচন সামনে রেখে ঘোষিত ইশতেহারে জনকল্যাণমুখী প্রশাসন গঠন এবং গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথপরিক্রমায় যা কিছু ভুল-ত্রুটি, তার দায়ভার আমার। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুল-ক্রটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব। তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়স্বজন সবাইকে হারিয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছি শুধু আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
আওয়ামী লীগই পারবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিতে : শেখ হাসিনা বলেন, যতদিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন, সুস্থ রাখেন, ততদিন যা কর্তব্য হিসাবে আমি গ্রহণ করেছি, সেখান থেকে সরে আসব না। আপনাদের সেবক হিসাবে কাজ করার মধ্য দিয়েই আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিতে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এ উত্তরণ যেমন একদিকে সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জেরও।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে। শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়, মাতৃভূমির স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন, তা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নাগরিকমুখী, কল্যাণমূলক দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ার মাধ্যমে জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়া এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ও দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক প্রশাসন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি : ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা রূপকল্প-২০২১-এর ঘোষণা দিয়েছিলাম। দিনবদলের সনদ হিসাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করি। এরপর শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ২০১৪ ও ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আমরা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছি। অনুষ্ঠানে মাথাপিছু আয়, জিডিপি ও বাজেটের আকার, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার তারা বিদেশ থেকেও কলকাঠি নাড়ছে : শেখ হাসিনা বলেন, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকা সত্তে¡ও সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে সব সময়ই যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি, এমন দাবি করব না। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যা বলি, তা বাস্তবায়ন করি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচন এলেই মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ এবং উন্নয়নবিরোধী একটি চক্র ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে সক্রিয় হয়ে ওঠে। নির্বাচনে কূটকৌশল অবলম্বন বা কারচুপির মাধ্যমে কিংবা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে তারা আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে। সফল না হলে জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিশোধ স্পৃহায়। অগ্নিসন্ত্রাস, যানবাহন পোড়ানো, বোমাবাজি, নাশকতা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করে ঘরবন্দি করতে চায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তার ওপর এবার তারা বিদেশ থেকেও কলকাঠি নাড়ছে।
সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচালের স্বপ্ন পূরণ হবে না : শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট পাবে না এটা বুঝতে পেরে আগে থেকে এবার তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে যানবাহন পোড়ানো, মানুষ হত্যা, রেললাইন উপড়ে ফেলাসহ বিভিন্ন নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। মা ও শিশুর অগ্নিদগ্ধ লাশ সবার বিবেককে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের হীন কাজ আর সহ্য করা যায় না। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের সাড়া না পেয়ে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে এসব নাশকতা চালিয়ে জানমালের ক্ষতি করছে। সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করার স্বপ্ন-সাধ কোনোদিনই তাদের পূরণ হতে দেবে না এ দেশের জনগণ। সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩-১৬ সময়ে যেযমন আপনারা ওদের প্রতিহত করেছিলেন; আসুন, এবারও সম্মিলিতভাবে ওদের প্রতিহত করি। স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী এ শকুনের দল আর কোনোদিন যাতে বিষময় দন্ত-নখর বসিয়ে দেশকে ক্ষতবিক্ষত করতে না পারে, আসুন, এই বিজয়ের মাসে এ শপথ নিই।
ছোটখাটো অভিঘাত আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। ছোটখাটো অভিঘাত আজ আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। করোনা মহামারিসহ নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে সেই প্রমাণ আমরা রেখেছি।
হীরেন পণ্ডিত: প্রাবন্ধিক ও গবেষক।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১: জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’
- সুনীল অর্থনীতি ও রূপকল্প-২০৪১
- শিক্ষার ধরন ও বেকারত্ব: দেশে অশিক্ষিতদের চেয়ে শিক্ষিত বেকার ৩ গুন
- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়
- ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস-১৯৬১ ও দ্বিপক্ষিয় কূটনীতিক সম্পর্ক
- মিডিয়ার শক্তি বা আসক্তি: ম্যাজিক বুলেটের বাকের ভাই ও বদি
- গণমাধ্যমে গণরুচির বিকার
- হালকা বিনোদনের প্রাধান্যে সংস্কৃতির অবনতি
- বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণার দিন শেষ, চার উপায়ে মধ্য আয়ের দেশ