মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাত পোহালেই ভোট, কেমন হবে ভোটের মেজাজ?

শিহাব উদ্দিন কিসলু

০৯:০০, ৩ নভেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৫:৩১, ৩ নভেম্বর ২০২০

৮৩১

রাত পোহালেই ভোট, কেমন হবে ভোটের মেজাজ?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেডিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইটা এবার সম্পূর্ণই অলাদা। আগামী শতকের যুক্তরাষ্ট্র কেমন হবে, বা কোন পথে হাঁটবে? সেটিই নির্ধারণ হবে এবারের নির্বাচনে। গত প্রায় আড়াই’শ বছরের মার্কিন গণতন্ত্রের নতুন বাঁকে এখন যুক্তরাষ্ট্র। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্সের নতুন বিশ্বে যুক্তরাষ্টের বিশেষ করে অর্থনীতি, বিদেশ নীতি এবং রাষ্ট্রনীতি এবারের নির্বাচনের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখছে। আমেরিকায় রাত পোহালেই ভোট। কেমন হবে সেই ভোটের মেজাজ। লিখছেন শিহাব উদ্দিন কিসলু। 

বাহ্যিক ভাবে করোনা মহামারী এবং জলবায়ু’র পরিবর্তনের বিষয়গুলো রাজনৈতিক বিশ্লেষণে গুরুত্ব পাবার পাশাপাশি বিশেষ করে নারীর মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত ও  স্বাস্থ্যবীমা বিষয়টিও সমান ভাবে প্রভাব ফেলছে এবারের ভোটের মাঠে। কিন্তু বহুজাতিগোষ্ঠীর অভিবাসী সমাজের যুক্তরাষ্ট্রে এবারের ভোটে নির্ধারণ হবে যুক্তরাষ্ট্রে তার চিরায়ত ‘মধ্য-ডান’ নীতিতেই থাকবে? নাকি বামে মোড় নেবে। যদিও ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন একজন মধ্য-ডান নীতির মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থার সাথে চলনসই এ রাষ্ট্রনীতিতেই স্বাচ্ছন্দ যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ। কিন্তু এবারের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন। বার্নি স্যান্ডার্সের সমর্থন এবং বাইডেন সরকার তার আদর্শের অংশীদারিত্ব দাবি নির্বাচনে যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলবে। রাত পোহালে ভোটের মাঠে আমরা সকলেই তার প্রমাণ পাবো। আর ঠিক এই কারণেই এবারের নির্বাচনকে ঐতিহাসিক বিবেচনায় দেখা হচ্ছে। 

এবারের নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রকে এশতকেই মধ্যবামে অথবা অতি ডানে নিয়ে যেতে পারে। সেকারণেই কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বিমাতাসূলভ অধিকার যেমন কামালা হ্যারিসের মত প্রার্থীকে সামনে এগিয়ে নিয়েছে তেমনি অভিবাসী বিরোধী মনোভাবেরও ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত  হচ্ছে। যার প্রমাণ মিলছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর সমর্থনে সশস্ত্র মিছিল সমাবেশ। এমনকি ভার্জিনিয়া এবং মিশিগানের গভর্ণরদেরকে কিডন্যাপ করার মত অপচেষ্টা আমরা উগ্রডানপন্থীদের করতে দেখেছি। ২০১৬ সালে যারা যে কারণে ডোনাল্ট ট্রাম্পকে নির্বাচিত করেছিল, তাদের সে এজেন্ডাসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবারো নির্বাচিত করার পক্ষে তারা। কারণ প্রেসিডন্ট ট্রাম্প এক্ষেত্রে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন এবং এগিয়ে চলেছেন। 

স্বভাবতই রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরিত্যাগ করছে না। শুধুমাত্র সিনেট এবং কংগ্রেসের সংখাগরিষ্ঠতা হারানোর ভয়ে কৌশলে পথ চলছেন। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরে ব্যক্তি ট্রাম্পবিরোধী ক্ষোভ রয়েছে এবং যারা প্রশাসন থেকে বেরিয়ে গেছেন বা চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তারা প্রকাশ্যে কথা বলছেন। 

এক্ষেত্রে যে বিষয়টি কাজ করছে তা হলো, ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি। একঘরে ইসরায়েলকে মুসলিম দেশগুলোর সাথে সখ্য তৈরির সুযোগ করে দেয়া প্রকারান্তরে প্যালেস্টাইন ও ইরানকেই মৃদু চপোটাঘাতের সামিল। আর এতে কেবল ইসরায়েলই নয়, লাভবান হয়েছেন ট্রাম্পও।  বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব, যা খর্ব হয়েছে সহজেই বলা যায়, সেটি নেহাত কৌশল ছাড়া কিছুই নয়।  ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এবং ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ এ দুটি শ্লোগানের মধ্যে যুক্তারাষ্ট্রের জন্মসুত্রে নাগরিক এবং অভিবাসী যারা নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাদের মনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শব্দগুলো রয়েছে। রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষাঙ্গদের মনে জমে থাকা কথা।  প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাকে তার পক্ষে সাইলেন্ট মেজরিটি’ আখ্যা দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনের ফলাফলে যার প্রভাব অনিবার্য। যেকারণে ট্রাম্পের ভিত্তি ভোটের মূল সংখ্যা ৪২ ভাগের হিসেবে কোন তারতম্য লক্ষ করা যাচ্ছেনা। শুধুমাত্র স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যেই সংখ্যা পরিমাপের  পারদ ওঠানামা করছে।
  
জনমত জরিপে প্রায় ডজন খানেক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে যাদের একটি ছাড়া সবাই জো বাইডেনের বিজয়ের কথা-ই বলছেন। গতবারের মত এবারো ’ট্রাফালগার’ জরিপ বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পর বিজয়ের কথা। এক্ষেত্রে তারা জরিপের বিশুদ্ধতার বিষয়টি বলছে। অধিক জনসংখ্যার মডেলে পরিচয় না চাওয়া জরিপে সঠিক মতামত বেরিয়ে আসে বলেই এ জরিপে দাবি করা হচ্ছে। এছাড়া যেভাবে ইলেকটোরাল ভোটের হিসেব কষছে অন্যসব প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমগুলো সেখানেও কিন্তু বলা হচ্ছে, জনমত জরিপের ফলাফল নিশ্চিত নয়। এব্যাপারে খোদ ডেমোক্র্যাট নেতৃত্ব নিজেরাই উদ্বেগ প্রকাশ করে ভোটারদেরকে ভোটদান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করছেন। 

ইলেকটোরাল ভোটের  ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় নেয়া গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো ‘ডেমোগ্রাফিক বিশ্লেষণ।’ এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমাবেশগুলোতে বিপূল জনসমাবেশ বিবেচনায় তার জনপ্রিয়তাকে মোটেও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আর এসব জনসমাবেশের চিত্র গণমাধ্যমে করোনা মহামারীর কারণ হিসেবে তুলে ধরা হলেও অজান্তেই  হিতে বিপরীত হচ্ছে। নেতিবাচক প্রচারণারও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। 

এবারের নির্বাচনে সর্বাধিক সংখ্যক ভোটারের ভোট দেওয়া এবং আগে ভাগেই ভোট দেওয়া একটি ব্যাতিক্রম। করোনা মহামারী একটি কারণ বটে তবে, ব্যাপক সংখ্যক প্রথম বারের মত নতুন ভোটার এবং অভিবাসী হিসেবেও নতুন ভোটার হওয়ার কারণেই এ প্রবণতা। এবারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে নারী ভোটারদের আধিক্য। কিন্তু এসব কোন কিছুকেই সহজভাবেই ডেমোক্রেটদের পক্ষে ধরে নেয়া শত ভাগ সঠিক হবেনা। কারণ হিসপ্যানিক ভোটারদের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেনের চেয়ে। সংখাধিক্য ভোটারদের অংশগ্রহণ পর্যালোচনায় নগরজীবনের বাইরের শেতাঙ্গ জনগোষ্টীর সমর্থন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পর প্রতি এতটাই বেশি যে, জো বাইডেনের সাথে পিছিয়ে পড়া জনমত জরিপের ব্যবধানের হিসেবকে পেরিয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এখনো শেতাঙ্গরাই সংখাগরিষ্ঠ, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ভয়কে জয় করতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মত ব্যক্তির রাজনীতিতে আবির্ভাব, সেটি স্বীকার না করলেও, বেমালুম অস্বীকার করার জো নেই্। তবে এবারের নির্বাচনে ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারস’ আন্দোলন জো বাইডেনের জন্য শাঁখেরকরাত হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। শুধুমাত্র কর্মজীবি নারী ও  গৃহনারীদের সমর্থনই জো বাইডেনের বিজয়ের পথে একমাত্র আশার আলো হতে পরে। আর পরাজয়ের একমাত্র কারণ হতে পারে তার  রানিংমেট পদে কামালা হ্যারিস।
 
কামালা হ্যারিস কে অতি বাম প্রগতিশীল মনে করা হচ্ছে। একজন জ্যামাইকানও ভারতীয় বংশোদ্ভুত কামালা হ্যারিসের নাম থেকে ’অভিবাসী’ লেবেলটি ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে মূলধারার সমাজে। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নারী প্রার্থীতার ইতিহাসও ভাল নয়। প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাকেইনের সাথে সারাহ পলিনের প্রার্থীতা আর প্রেসিডেন্ট পদে হিলারী ক্লিনটনের প্রার্থীতার মূলত তেমন কোন মৌলিক পার্থক্য খুজে পাওয়া যায় না। যুক্তারাষ্ট্রের নারীদের ভোটাধিকারের ইতহাস দেখলেই বিষয়টি পরিস্কার বোঝা যায়। বাড়তি যে টি বিবেচনার বিষয়, তা হলো জন এফ কেনেডির পরে এই প্রথম একজন ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট হবেন জো বাইডেন, যদি নির্বাচিত হন।

যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এভেঞ্জেলিকা খ্রীষ্টানদের সমর্থন ছাড়া জয়ী হওয়ার ইতিহাস নেই। আরো একধাপ যদি বাড়িয়ে বলি, তাহলে দেখা যাবে, এবারের নির্বাচনে ’ভাইস প্রেসিডন্ট পদ’ই মূলত নির্বাচনী যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হবে। কারণ, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতিতে কিংবা মৃত্যুতে কাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্টের জনগণ এমন জরিপে কিন্ত এক পয়েন্টে হলেও এগিয়ে রয়েছেন মাইক পেন্স। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পেসিডেন্ট পদে কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা’র নির্বাচিত হওয়ার প্রেক্ষাপট আর আগামী চার বছর বা আট বছর পর নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যৌক্তিকতা এক করে দেখছেন না এমনকি নারীরাও। যেটি ঘটেছিল হিলারাী ক্লিন্টনের ক্ষেত্রেও। 

অন্যদিকে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ করে রিপাবলিকান দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যত বিবেচনায় তাদের ’অর্থনৈতিক নীতিমালা’র দিক নির্দেশনা এবারের  নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে রিপাবলিকান দলের সিদ্ধান্তের এ বিষয়টিও বিবেচিত হতে পারে ব্যবসায় ও শিল্প ক্ষেত্রে। এরই মধ্যে ট্রাম্প  কৃষিসহ, ম্যানুফ্যাকচারিং, ফ্র্যাকিং এবং আমদানি শিল্পের বিষয়ে ‘ঐতিহ্যগত’ নির্দেশনা দিয়েছেন। 

‘সামরিক অর্থনীতি’ রিপাবলিকান সরকারের অবলম্বন এমন অভিযোগের ব্যতয় ঘটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিগত চার বছরে। যদিও ভবিষ্যত এখনো নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে মনে হচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি তাদের সামরিক অর্থনীতির অবস্থান থেকে সরে এসে নতুনভাবে দাঁড়াতে চায়। এবারের নির্বাচনের ইলেকটরাল ভোটের হিসেব নিকাশে ট্রাম্প এর চার বছরের শাসনামলে  যুদ্ধ বিচ্ছিন্ন যুক্তরাষ্ট্র সাধারন নাগরিকদের সমর্থন পেয়েছে। 

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এবারের নির্বাচন হবে আমাদের জীবদ্দশায় ‘একবারই।’ নির্বাচন নিয়ে তাই প্রচারণার মাত্রাও ভিন্ন চরিত্র পেয়েছে, যা কিনা একবারই নবীন গণতন্ত্রের দেশগুলোতে দেখা যায়। কারণ হিসেবে সাদা চোখে যে বিষয়গুলোকে সবাই যেভাবে দেখছে, ঠিক সেভাবে সরল রেখায় দেখার কোন সুযোগ বর্তমান প্রেক্ষাপটে একবারেই নেই। যারা বিষয়টিকে উপলদ্ধি করার কথা তারাও তত্ব দিতে পারছেন না। যদিও এটাকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ’সংকট’ই বলা যেতে পারে সহজেই। এসংকটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হলে তাতে অবাক হবার কিছু নেই। বরং উগ্রডান সমর্থকদের খুশি রাখার স্বার্থে কথা না বলে যদি কৌশলেও নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলতেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাহলেও এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই যে পূণঃনির্বাচিত হতেন, সেটি বলা মোটেও অত্যুক্তি মনে হয়না। 
 
কেবল সিদ্ধন্তহীন ভোটার কিম্বা বাম প্রগতিশীলদেরকেই নয়, এমনকি জাদরেল রিপাবলকিানদেরকেও  নিজের পক্ষে জড়ো করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বাস্তবিক বিপ্লব ঘটিয়েছেন বৈকি। তার এ সাফল্যে ভোটের মূল ফলাফলে না হলেও পপুলার ভোটে ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্ট  নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তবে তার এ বিজয় আগামী ২৪ ঘন্টায় বাস্তবে রুপ পাবে কিনা সেটি এখন পর্যবেক্ষণের বিষয়। আসুন দেখি ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দিনটি কেমন যায়। আর দিন শেষে ইলেকশন নাইটের জন্য কোন নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে আমেরিকান তথা বিশ্ববাসীর জন্য।

শিহাব উদ্দিন কিসলু: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank