ইউক্রেন আর্মিতে অর্থায়ন, ইউরোর জার্সি ও বিশ্ব রাজনীতির নতুন সংকট
ইউক্রেন আর্মিতে অর্থায়ন, ইউরোর জার্সি ও বিশ্ব রাজনীতির নতুন সংকট
বর্তমানে প্রথম বিদেশ সফরে জি৭ সম্মেলনে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপর বুধবার (১৬ জুন) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
তার আগেই মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন পুতিন। এছাড়া ইউক্রেনকে পেন্টাগনের আর্থিক সহায়তা ও ইউরোর জার্সি নিয়ে চলছে উদ্বেগ।
শুক্রবার (১১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের টিভি এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
বাইডেনের ‘খুনী’ মন্তব্যে পুতিনের বক্তব্য
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই পুতিন প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থান প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন। এমনকি মার্চ মাসে তাকে ‘উচ্চ পর্যায়ের খুনী’ হিসেবেও মন্তব্য করেন। এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে পুতিন হেসে উত্তর দিয়ে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমেরিকান আচরণের অংশ।
পুতিন বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি বিভিন্ন অজুহাতে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে আক্রমণের স্বীকার হয়েছি। তাই এরকম কোন কিছুই আমাকে অবাক করে না।
তিনি আরও বলেন, বাইডেনের এ জাতীয় বক্তব্য আমেরিকায় খুব সাধারণভাবে নেয়া হয়। তবে এখানে (রাশিয়া) সেটা স্বাভাবিকভাবে দেখা হয়না।
ইউক্রেনের আর্মিতে পেন্টাগনের অর্থ
ইউক্রেনের সুরক্ষা সহায়তা উদ্যোগের জন্য নতুন করে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তারাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ। যে অর্থ দিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে, তার সীমানা সুরক্ষিত করতে এবং ন্যাটোর সাথে আন্তঃসযোগিতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং পরামর্শমূলক প্রচেষ্টা চালাবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে এই অর্থায়নের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক আরও খারাপ অবস্থানে যাবে।
ইউক্রেনের ইউরো জার্সি নিয়ে রাশিয়ার ক্ষোভ
শুরুর আগেই জার্সি-বিতর্ক পরিবেশ গরম করে রেখেছে ইউরোতে। ইউক্রেন জাতীয় দলের জার্সিতে একটা বিশেষ স্লোগানকে ‘রাজনৈতিক’ বলে সেটি সরিয়ে দিতে উয়েফার কাছে নালিশ জানায় রাশিয়া। ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফাও ইউক্রেনকে স্লোগানটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু উয়েফার এই নির্দেশ মানতে খুব একটা ইচ্ছুক নয় ইউক্রেন। তারা বরং সেই স্লোগানটিকে জাতীয় দলের অফিশিয়াল স্লোগান হিসেবে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের জার্সিতে লেখা—‘গ্লোরি টু আওয়ার হিরোজ’। এমন একটা স্লোগানের মধ্যেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজে নিয়েছে উয়েফা। ইতিহাস বলছে, উয়েফার এমন আবিষ্কার খুব অমূলক কিছু নয়। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ বৈরী। ২০১৪ সালে এই ‘গ্লোরি টু আওয়ার হিরোজ’ স্লোগানটা ব্যবহার হতো রাশিয়াবিরোধী স্লোগান হিসেবেই।
উয়েফা মূলত ইউক্রেনকে জার্সি বদলাতে বলেছে রাশিয়ার চাপেই। মঙ্গলবার এ জার্সি নিয়ে উয়েফার কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও জানিয়েছে তারা। কেবল সেই ‘গ্লোরি টু আওয়ার হিরোজ’ স্লোগান নয়, জার্সিতে ইউক্রেন জাতীয় ফুটবল দলের যে প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ইউক্রেনের মানচিত্র-সাদৃশ। সেই মানচিত্রে একটি বিশেষ অঞ্চলকে ইউক্রেনের অংশ দেখানো হয়েছে, যেটি রাশিয়া নিজেদের বলে দাবি করে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১: জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’
- সুনীল অর্থনীতি ও রূপকল্প-২০৪১
- শিক্ষার ধরন ও বেকারত্ব: দেশে অশিক্ষিতদের চেয়ে শিক্ষিত বেকার ৩ গুন
- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়
- ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোমেটিক রিলেশনস-১৯৬১ ও দ্বিপক্ষিয় কূটনীতিক সম্পর্ক
- মিডিয়ার শক্তি বা আসক্তি: ম্যাজিক বুলেটের বাকের ভাই ও বদি
- গণমাধ্যমে গণরুচির বিকার
- হালকা বিনোদনের প্রাধান্যে সংস্কৃতির অবনতি
- বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণার দিন শেষ, চার উপায়ে মধ্য আয়ের দেশ