আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে কোনো ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নেবে না
আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে কোনো ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নেবে না
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ভোটারের পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন আনুপাতিক হারে নির্বাচন। কেন? আনুপাতিক নির্বাচন কীসের জন্য? এটা কী তৃণমূলের মানুষ বোঝে?’
তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দলের ভোটারের সংখ্যা বেশি নয়, তারা আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। যাদের ভোটের সংখ্যা বেশি নয়। তারা এটা একটা কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। এটা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
রিজভী বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা বলছেন, এখানে তো তাহলে সংস্কার হবে না। একটা রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেবে, এখন সেই দল ঠিক করবে কাকে কাকে এমপি বানাবে। তাহলে তো কেনাবেচা আরও শুরু হবে। এই কারণে দুই-একটি রাজনৈতিক দল আনুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। তারা তাদের লাভটা দেখছে। কিন্তু দলের এবং নিজের জনপ্রিয়তা মিলেই তো নির্বাচিত হন। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটার প্রচলন আছে। কিন্তু তারাও এটা বাতিল করার কথা ভাবছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জন আকাঙ্ক্ষার মধ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর প্রত্যেকেই সমর্থন দিয়েছে ড. ইউনূস সাহেবকে। তিনি একজন গুণী মানুষ। কিন্তু আমাদের বক্তব্য একটিই- জন আকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্য এজেন্ডা নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ মেনে নিবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এখনো বাজারে চালের দাম কমেনি। চিনি, আলুর দামও কমেনি। আলুর মৌসুমে দেশে ৩-৪ টাকা দরে আলু বিক্রি হতো। শেখ হাসিনার কারণে গত বছর থেকে ভারত থেকে আলু আমদানি করতে হয়। এবারও যদি আলু আমদানি করতে হয়, তাহলে মানুষ বলবে ইউনূস সাহেবের সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, তাহলে কী লাভ হলো?’
রিজভী আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার কত আলেম-ওলামাকে খুন করেছে সেই হিসাব কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রকে অপরাধী বানিয়েছে শেখ হাসিনা। এই অপরাধের দোসর কে ছিলেন জানেন? আরেকটি রাষ্ট্র, তার নাম হলো ভারত। হাসিনার সব অপরাধ, গুম, খুন, হত্যাকে তারা সমর্থন দিয়েছে। এই দুষ্কর্মে তারা সাথি হয়েছে। দানব নিষ্ঠুর সরকার, একজন মহিলা ফেরাউন দেশকে শাসন করেছে। আর কোনো রাষ্ট্র তাকে সমর্থন দেয়নি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`