রেহমান সোবহানকে অভিনন্দন জানিয়ে রব বললেন ‘রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে’
রেহমান সোবহানকে অভিনন্দন জানিয়ে রব বললেন ‘রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে’
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ‘কার জন্য ঘণ্টা বাজছে’ নিবন্ধ প্রকাশ করায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রেহমান সোবহানকে বিরাজমান বাস্তবতায় ‘বিবেকের বার্তাবাহক’ উল্লেখ করে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আব্দুর রব বলেন, ‘অধ্যাপক রেহমান সোবহান নিবন্ধে বলেছেন- বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের ওপর এই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব নিয়ে আমার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে বছরের পর বছর ধরে আইনের একতরফা অপব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার সামরিক বা রাজনৈতিক যেমনই হোক না কেন, এই অপব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ব্যাপক আক্রমণের অংশ হিসেবে বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু আমাদের বিচারব্যবস্থাই নয়; আমাদের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবিধানিক সংস্থা- যেমন সংসদ, নির্বাচন কমিশন (ইসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সবই এমন পর্যায়ে দলীয় উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে তারা সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।’
নিবন্ধের বরাতে আব্দুর রব বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের বিদ্যমান বাস্তবতা অর্থাৎ রাষ্ট্রকে ধ্বংসের মুখে নিপতিত করে দেওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে প্রকাশ পেয়েছে জাতির ভবিষ্যতের রাস্তা কত অনিশ্চিত ও বিপদসংকুল। রেহমান সোবহানের নিবন্ধকে শত্রু শিবিরের নজির বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সত্য কেবল সত্যই। তিনি শুধু সেই অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা তিনি নিজে অবলোকন করেছেন। নিবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে- শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে লাগামহীনভাবে সংবিধানের সব প্রতিষ্ঠান আইনগত ও নৈতিকভাবে অন্তঃসারশূন্য অক্ষম প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে; যা জনগণের সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা না দিয়ে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর। ফলে শুধুমাত্র কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়- রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের এই গভীর সংকট নিরসনে বিদ্যমান নিপীড়ন ও অবিচারমূলক শাসন ব্যবস্থার অবসানে স্বাধীনতার চেতনা ভিত্তিক কার্যকর সরকার ও শাসনব্যবস্থা, শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা প্রবর্তনে জাতীয় ঐক্য এবং গণজাগরণ সৃষ্টি করে বিপর্যয়ের মুখে পতিত অর্থাৎ রাষ্ট্রের ঘণ্টা বেজে গেছে- এই দুঃসহ অবস্থান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।’
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`