ভারত যাদের ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছে তারা সবাই পাবে
ভারত যাদের ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছে তারা সবাই পাবে
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রমকুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, উৎপাদন ও বিতরণে জড়িত ভারতের কোনও মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কাজেই ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা বা দুঃশ্চিন্তা কিছু নেই। আবার, বিষয়টি এমন নয় যে, এক হাজার ভ্যাকসিন এখন উৎপাদিত হলো এবং এখনই সেগুলো রপ্তানি করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি), সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এসময় দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
ভারতীয়রা যখন ভ্যাকসিন পাবে, বাংলাদেশের মানুষও কি তখনই পাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের মানুষ কখন পাবে, সেটা আমি বলতে পারি না। তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনে দেশের অনেক কোম্পানি কাজ করছে। আশা করা যায়, যত দ্রুত সম্ভব তা উৎপাদিত হবে এবং বাজার আসবে।
দোরাইস্বামী বলেন, ভারতের সরকার যাদের ভ্যাকসিন দিতে অঙ্গীকার করেছে তারা সবাই পাবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের কারা টিকা পাবে তা আমরা এবং বাংলাদেশে কারা পাবে তা আপনারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঠিক করবেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের জন্য গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ৫০ লাখ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেবে। এভাবে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে সেরাম থেকে।
আরও পড়ুন**কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন রপ্তানি শুরু করবে ভারত
এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এবং দেশেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়, চলতি মাস বা ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে গত ৪ জানুয়াইর ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী একটু টুইটে জানান, ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এই খবর প্রকাশিত হলে আলোচনার ঝড় ওঠে আলোচনা-সমালোচনার।
এই অনিশ্চয়তা কাটাতে তৎপর হয় বাংলাদেশ-ভারত দুইবন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বেক্সিমকোর ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে কোথাও বিভ্রান্তির কিছু নেই। বারবার বলা হয়, বাংলাদেশ যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে।
এছাড়া, ভ্যাকসিনের আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন, নীতিমালাও চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`