উচ্চশিক্ষিত ১০০ জনের মধ্যে ২৮ জনই বেকার
উচ্চশিক্ষিত ১০০ জনের মধ্যে ২৮ জনই বেকার
দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত। এক যুগে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চাকরির বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পড়াশোনা না থাকাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়ন ও পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এক যুগ ধরে প্রতি বছর গড়ে ২ শতাংশ হারে শ্রমশক্তি বেড়েছে। অর্থাৎ প্রতিবছর কয়েক লাখ তরুণ চাকরির বাজারে আসছেন। অন্যদিকে গত দুই দশকে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তরুণদের কর্মসংস্থানের অবস্থা খারাপ হয়েছে। অর্থাৎ বিগত দিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি।
টাস্কফোর্স জানায়, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দেশে স্নাতক পাশ করা জনসংখ্যার হার অনেকটা অপরিবর্তিত ছিল। যেমন ২০০০ সালে এই হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১০ সালে সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। তবে গত এক দশকে স্নাতক পাশ করা জনসংখ্যার এই হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে স্নাতক পাশ জনসংখ্যার হার বেড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছায়। কিন্তু স্নাতক পাশ জনসংখ্যা বাড়লেও তাদের জন্য চাকরির সুযোগ সেভাবে বাড়েনি। ফলে এই শ্রেণির বেকারত্ব বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে স্নাতক পাশ করা পর্যায়ে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন উচ্চশিক্ষিত (টারশিয়ারি) ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনই বেকার অবস্থায় রয়েছেন। সে তুলনায় নিম্নমাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কম।
স্নাতক পাশ করা তরুণদের মধ্যে ৬০ শতাংশই এসেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন কলেজ থেকে। তাদের মধ্যে মানবিক বিষয়ে ৩১ শতাংশ এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ৩২ শতাংশ পড়েছেন। অর্থাৎ টারশিয়ারি শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ চাকরির বাজারের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পড়ালেখা করেননি।
টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার শ্রমবাজারে চাকরির চাহিদার সঙ্গে দক্ষতার অসংগতিও দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে যারা কাজে যুক্ত আছেন, তাদের ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছেন। এ কারণে চাকরির বাজারে কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে । আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—দেশে শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্ৰশিক্ষণে যুক্ত নেই, এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়` - মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ