রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে দ্বিতীয় যাত্রা শুরু
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে দ্বিতীয় যাত্রা শুরু
প্রথম ধাপে দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়ার ২৫ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উখিয়া থেকে রোহিঙ্গা বহনকারী বাসগুলো রওনা হয়েছে। প্রথমে তাদের চট্টগ্রাম আনা হবে। সেখান থেকে নেওয়া হবে ভাসানচর।
আগেই জানা গিয়েছি এ দফায় বঙ্গোপসাগরের আলোচিত চরটিতে যাবে ১০০০ রোহিঙ্গা। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ১৩টি বাসে চড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারা। এছাড়াও এই গাড়ি বহরে পুলিশের একটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
আরও পড়ুন**দ্বিতীয় দফায় ১০০০ রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচরে
এর আগে রবিবার বিকেলে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হয়। ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা গতকাল বিকেল ৪টা থেকেই ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করে। সকালেও অনেকে এসে যোগ দেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু কর সরকার। সেবার ৮টি জাহাজে করে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষ ভাসানচরে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছে গোছানো সাজানো আবাস দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন**রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের পথে ৮ জাহাজ
নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে সরকার। মেঘনা মোহনার দ্বীপে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সর্বপ্রথম নমুনা হিসেবে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়। এরপর গেল ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি চরটি দেখতে যান। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন**ভাসানচরে পৌঁছে খুশি রোহিঙ্গারা, মোনাজাত ও দোয়া
যা রয়েছে ভাসানচরে
১২০টি ক্লাস্টার গ্রাম নিয়ে তৈরি ভাসান চর ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের জন্য প্রস্তুত। বিদ্যুৎ ও সোলার প্যানেল, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট এবং মোবাইল ফোনের টাওয়ারসহ ভবনগুলো যে কাউকে অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাড়িগুলো মাটির চার ফুট উপরে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি। পুরো আবাসন সাইটটির নিরাপত্তায় রয়েছে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা সুরক্ষা বাঁধ। এছাড়াও রয়েছে চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, দুটি স্কুল ও তিনটি মসজিদ।
জাতিসংঘ নির্ধারিত আকারেরও বড় মাথা গোঁজার ঠাঁই এই দ্বীপ। সৌরবিদ্যুৎ জোগাবে আলো আর পানি। রান্নায় সাশ্রয়ী আর পরিবেশবান্ধব চুলা। শিশুদের জন্য স্কুল, খেলার মাঠ। কক্সবাজারের ক্যাম্পের তুলনায় এমন অন্তত ১৬টির বেশি সুবিধা নিয়ে ১ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর জন্য অপেক্ষা করছে ভাসানচর, যাদের মধ্যে ১৬৪২ জন শুক্রবার পৌছালেন।
তবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তি রয়েছে। সাগরের মাঝে বিচ্ছিন্ন ওই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে রোহিঙ্গারা কতটা নিরাপত্তা পাবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`