ইসিকে জরুরি ৯ নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
ইসিকে জরুরি ৯ নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ৯ দফা মানতে হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলস উর রহমান সম্প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজমকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ডের সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা অনভিপ্রেত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আপনার মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন সংযুক্ত দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়ে অথবা আপনার বিবেচনায় আরো কিছু বিষয় সংযোজিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে মর্মে আমি মনে করি
১. নিজ অধিক্ষেত্রের যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের চূড়ান্ত আমন্ত্রণ গ্রহণের পূর্বে আয়োজক প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহপূর্বক আমন্ত্রণ চূড়ান্ত করা;
২. বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা; কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে ওই অনুষ্ঠান পরিহার করা;
৩. আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্যান্য যেকোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/ বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা;
৪. অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা গ্রহণ;
৫. নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ ব্যানার/ চিঠি/ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন/ সাজ-সজ্জা/ সার্টিফিকেট/ট্রফি-মেডেল/স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা; এ সব ডকুমেন্ট অথবা স্মারকে যাতে কোনো প্রকার আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে, তা নিশ্চিত করা;
৬. সরকার কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সব দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সে সব দিবস যাতে পালিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা;
৭. সরকার কর্তৃক বাতিল ঘোষিত দিবসসমূহের পূর্ববর্তী বছরগুলোর সকল স্মারক/ক্রেস্ট/ছবি/ স্যুভেনির ইত্যাদি সব অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৮. আনুষ্ঠানিক প্রতিটি সভা/অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুতপূর্বক পাঠ করা; লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা/স্লোগান/জয়ধ্বনি/বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা;
৯. যে কোনো প্রকারের গুজব থেকে নিজে এবং নিজ অধিক্ষেত্রের সব সহকর্মীকে দূরে রাখা।
চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আশা করছি, উল্লিখিত বিষয়ে আপনার আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের অফিসসমূহের জন্য আপনার পক্ষ হতে একটি উপানুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা জারি করা হলে সহকর্মীগণ অধিক সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনে যত্নবান হবেন৷ এ বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করছি।
জানা গেছে, এই নির্দেশনা পাওয়ার পর ইসি সচিব যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`