সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা করবে আইএমএফ
সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা করবে আইএমএফ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা করবে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। এ লক্ষ্যে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকায় আসবে। তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রমে সম্ভাব্য অর্থায়নে প্রয়োজনীয়তাগুলো মূল্যায়ন করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলি কোজ্যাক এসব কথা বলেন। শ্রীলংকার বিষয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি টেনে আনেন।
গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার ব্যাপক প্রাণহানির প্রসঙ্গে টেনে আইএমএফের যোগাযোগ পরিচালক জুলি কোজ্যাক বলেন, ‘সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার কারণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এটা খুবই পীড়াদায়ক, জীবনের সেই ক্ষয়ক্ষতির কথা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিল।’
আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আইএমএফের একটি মিশন চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে যাবে। প্রতিনিধিদলটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের জন্য কাজ করে আসবে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করবে এবং স্টাফ সফর সম্পর্কে আরও বিশদ যথাসময়ে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে এবং আইএমএফ প্রোগ্রামের প্রেক্ষাপটে জনগণের সমর্থনে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। তারা সংস্কার এজেন্ডাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। আসন্ন মিশনের অংশ হিসাবে প্রতিনিধিদলটি সব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাগুলো মূল্যায়ন করবে।
এদিকে আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি বর্তমানে চলমান রয়েছে। ২০২৬ সালে এ চুক্তির আওতায় ঋণের শেষ কিস্তির অর্থ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা রয়েছে। গত জুনে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তির অর্থ আগামী ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা রয়েছে।
সংকট মোকাবিলা করতে আইএমএফ থেকে সরকার ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিলেও রিজার্ভ ও ডলার সংকট এখনও কাটেনি। যে কারণে আমদানি পরিস্থিতি ও ডলার বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বৈদেশিক বকেয়া ঋণও শোধ করা যাচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসে আইএমএফের কাছে আরও অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে আইএমএফের কাছে চিঠি দেওয়ার পর আইএমএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বাড়তি ঋণ ছাড়ের শর্ত হিসাবে আরোপিত এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করার কথা বলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি গুটিকয়েক পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে আরোপিত মার্জিন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একই সঙ্গে আইএমএফের শর্তে মুদ্রানীতিকে আরও সংকোচনমুখী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`