৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন
৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন
২০২২ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বিসিকের মাধ্যমেই ১৯৬১ সাল থেকে দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সকল উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিগত ৬২ বছরের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২২ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৯০ মে.টন। চলতি লবণ মৌসুমের ২৮এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ২২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৫৮ মে.টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে বিগত বছরের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে এবং লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর, গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।
লবণ মৌসুমের শুরু থেকেই বিসিক কর্তৃক সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদেরকে অগ্রীম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং চাষ এলাকা সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ প্রদান, একরপ্রতি লবণ উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণ, প্রকৃত লবণ চাষিদের নিকট বরাদ্দকরণ, লবণ চাষের জমির লীজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা প্রদান, জরিপ পরিচালনা এবং লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিংসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
লবণ শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার চৌফলদন্ডী এলাকায় লবণ মাঠ পরিদর্শন করেন এবং লবণ চাষিদের সাথে মতবিনিময় করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থানে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লবণ গবেষণা ইনস্টিটিটিউট’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। লবণ গবেষণা ইনস্টিটিটিউট’ স্থাপিত হলে লবণ চাষের আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উদ্ভাবন, সমুদ্র উপকূলীয় অন্যান্য জেলায় লবণ চাষ সম্প্রসারণ, লবণ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং গুণগত মানসম্পন্ন অধিক পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হবে। ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`