কিস্তিতে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর অটোমেকানিক আলাউদ্দিন
কিস্তিতে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলেন নোয়াখালীর অটোমেকানিক আলাউদ্দিন
দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন আরও এক ক্রেতা। তিনি হলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের অটোমেকানিক আলাউদ্দিন। দেশব্যাপী চলমান মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৯ এ ঘোষিত ক্রেতা সুবিধার আওতায় ওই ক্যাশ ভাউচার পান আলাউদ্দিন। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের কলা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) চৌমুহনীর মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘বর্ণা ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে আলাউদ্দিনের হাতে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের (দক্ষিণ) ইনচার্জ নূরুল ইসলাম রুবেল, ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম রেজা, নোয়াখালী জোনের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার শিহাবুল হক এবং বর্ণা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মিল্লাত হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সিজন-১৯ এর আওতায় দেশব্যাপী মার্সেলের যেকোনো শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন। এছাড়াও পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাবেন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, গত ২১ নভেম্বর মার্সেলের শোরুম ‘বর্ণা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে মাত্র ১২ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৪৮ হাজার ৪৯০ টাকা মূল্যের একটি মার্সেল ফ্রিজ কিনি। এর পর ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর আমার মোবাইলে মার্সেল থেকে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ আসে। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়ে পরিবারের সবাই খুব খুশি। ওই ক্যাশ ভাউচারের বিপরীতে মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ, এলইডি টিভি, গ্যাস স্টোভ, ফ্রাই প্যান, ব্লেন্ডারসহ ঘরের প্রয়োজনীয় অনেক ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনেছি। ক্রেতাদের এত বড় সুবিধা দেওয়ায় মার্সেলকে ধন্যবাদ।
ক্যাশ ভাউচার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান মার্সেলের পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশপ্রেমিক এবং বিবেকমান মানুষরা দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনে থাকেন। তারা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। দেশীয় প্রতিষ্ঠান মার্সেল ক্রেতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যে শতভাগ রক্ষা করে, তারই প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান।
বর্ণা ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মিল্লাত হোসেন বলেন, পূর্বের সিজনের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সারা বছরই ক্রেতাদের নানা সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। পণ্য বিক্রিতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় খুশি ক্রেতারাও। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শতভাগ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
মার্সেল সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালীন ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারছেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের চাহিদা, রুচি ও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে তাদের ফিডব্যাক জানতে পারছেন সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরা। এসব তথ্য মার্সেলের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগকে উদ্ভাবনী নতুন মডেলের পণ্য উৎপাদনে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`