বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ || ১০ পৌষ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বন্দরের ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, পাঁচ প্রকল্প পাইপলাইনে

বিশেষ সংবাদদাতা

১৮:৫১, ২৯ নভেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৯:৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২০

২৩৯৫

বন্দরের ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, পাঁচ প্রকল্প পাইপলাইনে

বে টার্মিনাল চট্টগ্রাম
বে টার্মিনাল চট্টগ্রাম

দেশে বন্দর সুবিধা বাড়ানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে পাইপলাইনে। কোভিড-১৯ মহামারিতে অর্থনীতিতে কিছুটা সঙ্কট তৈরি হলেও এগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে। দেশে সমুদ্রপথে পণ্য-সামগ্রী, মালামাল বোঝাই হয়ে আসা জাহাজ ও তার কনটেইনার সামলাতে হাতে নেওয়া হয়েছে এসব নতুন প্রকল্প। চলমান  প্রকল্প পাঁচটি হচ্ছে-

- চট্টগ্রাম বে টার্মিনাল নির্মাণ
- পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ
- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ
- পায়রা বন্দর নির্মাণ ও
- মোংলা বন্দরে নতুন দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ

পোর্ট সিঙ্গাপুর অথরিটি-পিএসএ'র অর্থায়নে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)'র আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরকে সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বে টার্মিনাল। ধারনা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে দেশের কনটেইনার ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের বন্দরে বিদেশি দক্ষতা-সক্ষমতার সমন্বয়ের নতুন সূচনা হবে।  

প্রায় এক দশক ধরে বিষয়টি ভাবা হলেও পোর্ট সিঙ্গাপুর অথরিটি- পিএসএ'র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নতুন সুযোগটি উন্মোচন করেছে সরকার। পতেঙ্গা টার্মিনালটিও তৈরি হচ্ছে বিদেশি অংশগ্রহণে। এই প্রকল্পে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে সৌদি আরবের ডিপি ওয়ার্ল্ড ও রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে। মাতারবাড়ি প্রকল্পে অর্থসহায়তা দিচ্ছে জাপান। মংলা বন্দর উন্নয়ন হচ্ছে সরকারি অর্থায়নে। 

একটি পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে- ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর হ্যান্ডল করে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউ (বিশ ফুটের সমান কনটেইনার ইউনিট)। যা ২০১৮ সালে ছিলো ২৯ লাখ  ৩ হাজার ৯৬৬ টিইইউ। এক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ৬.৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে একই বন্দরে মোট টিইইউ হ্যান্ডল করা হয় ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৭ টি, যা ছিলো আগের বছরের চেয়ে ৯ শতাংশেরও বেশি।

এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের বন্দর সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর সে পথেই হাঁটছে সরকার। 

হামবুর্গ পোর্ট কনসালটিংয়ের ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর ফোরকাস্টে দেখিয়েছিলো ২০৪০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ৫৪ লাখ টিইইউ হ্যান্ডল করবে। ২০২০ সালের জন্য এই লক্ষ্য ধরা ছিলো ২৭ লাখ। যা ২০১৯ সালেই অতিক্রম করে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। যা ছিলো নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ৩ লাখেরও বেশি।

দেশের সমুদ্রপথে আসা কনটেইনারের ৯০ শতাংশই ভেরে চট্টগ্রাম বন্দরে। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ কনটেইনার বন্দর নগরেই বিভিন্ন স্থানে যায়। বাকি ৭০ শতাংশ যায় রাজধানী ঢাকা হয়ে অন্যত্র।  

তৈরি পোশাকসহ আরও কিছু খাতে দেশের রপ্তানিবাণিজ্য যত বাড়ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের উপর তার চাপও বেড়ে চলেছে। এতে বহির্নোঙ্গরে জাহাজকে অপেক্ষমান থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতেই, আর দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকের সহজতর করতেই চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বন্দর সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। 

এর পাশাপাশি, সড়ক, রেল পথের সংযোগ উন্নততর করা হচ্ছে। এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলোকেও খনন করে তৈরি করা হচ্ছে ভারী পণ্য-সামগ্রী বহনের জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে। আর পোর্ট সুবিধা বাড়াতে পাঁচটি প্রধান প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতিতে।

বে টার্মিনাল

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলো মিটার দূরে পতেঙ্গার হালিশহরের কাছে নির্মিত হচ্ছে বে টার্মিনাল। নির্মাণ প্রক্রিয়া ও পোর্ট অপারেশনে উন্নয়ন সহযোগী হয়ে কাজ করছে পোর্ট সিঙ্গাপুর অথরিটি- পিএসএ। গত সেপ্টেম্বরে পিএসএ'র অংশগ্রহণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সরকারি বেসরকারি অংশীদারীত্ব-পিপিপি কর্তৃপক্ষ পিএসএ'র সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রকল্পের একটি টাইমলাইন তৈরি করবে।

প্রকল্প এলাকা বর্তমান নির্ধারিত ৮৭১ একরের ওপর বিস্তৃততো হবেই, সমুদ্রের ভেতরেও আরো ১৬০০ একর এই বন্দরের জন্য নিয়ে নেওয়া হবে। যার মোট বিস্তার বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে কয়েকগুন বেশি হবে। ১২ মিটার গভীরতার এবং ১৯০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘের জাহাজ এই বন্দরে ভিরতে পারবে। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ ৯ মিটার গভীরতার জাহাজগুলোই ভিরতে পারে।  সমুদ্রতীর থেকে মূল টার্মিনাল হবে ৮০০ মিটার দূরে। জাহাজগুলো একটি খননকৃত চ্যানেল দিয়ে চলাচল করবে। সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে গেলে, ঝড়-ঝঞ্ঝা-জলোচ্ছাসে যাতে জাহাজগুলো সুরক্ষা পেতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে থাকবে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল। পোর্ট লিংক রোডের পাশেই এই টার্মিনাল গড়ে উঠছে, ফলে এখান থেকে সহজেই ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরা যাবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনও এখান থেকে কাছাকাছি দূরত্বে।

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটিও সম্পূর্ণ নতুন টার্মিনাল হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। এটি চট্টগ্রাম ড্রাইডক ও পতেঙ্গা বোট ক্লাবের মাঝের অংশ নির্মিত হবে যা চট্টগাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটর দূরে। সৌদি আরবের ডিপি ওয়ার্ল্ড কিংবা রেড সি গেটওয়ের মধ্যে যে কোনো একটিকে এই টার্মিনাল নির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে নিতে যাচ্ছে সরকার। এমনও হতে পারে দুটি প্রতিষ্ঠানই এই প্রকল্পে যুক্ত থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে পতেঙ্গা টার্মিনাল নির্মাণে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু করেছে। নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে এবং শিগগিরই তা শেষ হবে। 

প্রকল্পটি কর্ণফুলী নদীর মুখে ২৬ একর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত যার জেটি হবে ৬০০ মিটার দীর্ঘ। টার্মিনালের পরিচালন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে নির্বাচিত হতে যাওয়া কোম্পানি। টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় তৈরি হবে সড়ক সংযোগ। আর রেল সংযোগও নিশ্চিত করা হবে। 
 
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। এ বছরের মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয় এ বছরের মার্চে। চট্টগ্রাম থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই মাতারবাড়ি। প্রকল্পে নির্মাণ সহায়তার জন্য জাপানের নিপ্পন কোইর সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে সেপ্টেম্বরে। অপর একটি চুক্তি হয়েছে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানি, ডিডিসি লিমিটেড ও বিসিএল লিমিটেডের জয়েন্ট ভেঞ্চারের সঙ্গে।  এরা প্রকল্পে পৌকৌশল সহায়তা, সড়ক সংযোগ, মহাসড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবে। পুরো প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অর্থায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি- (জাইকা)। প্রকল্পের প্রথম পর্যায় ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

এই বন্দর প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়িতে একটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিপিজিসিবিএল) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে মাতারবাড়িকে নতুন অর্থনৈতিক হাব হিসেবেই দেখছে সরকার। এই বন্দরের আওতায় থাকবে ১৮ হেক্টর জুড়ে কনটেইনার টার্মিনাল। সঙ্গে ৪৮০ মিটার দীর্ঘ জেটি। এছাড়া একটি ৩০০ মিটার জেটি সম্বলিত একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

- কনটেইনার টার্মিনালরে সক্ষমতা হবে বছরে ৬০০,০০০ টিইইউ
- মাল্টিপারপাস টার্মিনালের সক্ষমতা হবে বছরে ২.২৫ মিলিয়ন টন 
- ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন চ্যানেল থাকবে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীর
- নতুন একটি মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে যা সংযুক্ত হবে জাতীয় মহাসড়ক-১ এর সঙ্গে

 
পায়রা বন্দর
 
কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চাপ ভাগ করে নিতে সম্পূর্ণ নতুন বন্দর হিসেবে নির্মিত হচ্ছে এই পায়রা বন্দর। ২০১৩ সালে গৃহীত পায়রা সমুদ্রবন্দর আইন-২০১৩’র আওতায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরকে সংযুক্ত করতে এই বন্দরের একটি বড় ভূমিকা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকা পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলার রবনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীর। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রথমে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনশিয়েটিভ-বিআরআই’র কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরে এতে ভারত ও অন্যান্য উৎস থেকে আসে  অর্থ। ২০১৬ সালে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়, যা এখন পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।  

এই প্রকল্প এলাকাটি প্রাকৃতিকভাবেই অগভীর। ফলে এখানটায় নাব্যতা নিশ্চিত করতে খনন কাজ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ছোট্ট ইউরোপীয় দেশ লুক্সেমবার্গের ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি জান ডি নাল'র সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটি রবনাবাদ চ্যানেল ধরে বঙ্গোপসাগরে ৭৫ কিলোমিটার পথ খনন করবে। ১০ বছরের চুক্তি রয়েছে এই কোম্পানির সঙ্গে। প্রাথমিক খননকাজে খরচ হচ্ছে ৯৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  
 
বন্দর স্থাপনার কাজ তিন পর্যায়ে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম স্তরে খনন কাজ শুরু হয়েছে এবছরের এপ্রিলে যা পুরো ২০২১ সাল জুড়ে চলবে। এই অংশে সমুদ্র বর্তমানে ৪ মিটার গভীর, যা ১০.৫ মিটার গভীরতায় নিয়ে যাওয়া হবে। 

কাঠামো নির্মাণে ১৯টি কমপোনেন্ট থাকবে যার মধ্যে ১৩টি বাস্তবায়ন করা হবে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগে। বাকি ছয়টি কমপোনেন্ট বাস্তবায়নে জিটুজি চুক্তির সুবিধা নেবে সরকার। ৬০০ মিলিয়ন ডলার খরচে দুটি কমপোনেন্ট নির্মাণের কাজ পেয়েছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও চায়না স্টেট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। ২০২২ সালের মধ্যে বন্দরের মূল কাঠামো নির্মাণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। 

এর বাইরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়ালিংফোর্ড রবনাবাদ চ্যানেল থেকে বহির্নোঙর পর্যন্ত ৩৫ নটিক্যাল মাইল ড্রেজিং পরিকল্পনা তৈরি করছে। ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজগুলো যাতে এই বন্দরে ঢুকতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া:
- ৫.৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কে সযুক্ত হতে।
- ২৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুই লেনের সড়ককে চার লেন করার পৃথক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
- পায়রা বন্দরকে রেলপথে সংযুক্ত করতে এরই মধ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে
- বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নদীপথগুলো খনন করে নাব্যতা বাড়ানো হবে।

মংলা বন্দর
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটিকেও  উন্নয়নে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এই বন্দরের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাগেরহাট জেলার এই বন্দর সমুদ্র উপকুল থেকে ৮২ কিলোমিটার উত্তরে পশুর নদীর তীরে । এই বন্দরও পাচ্ছে নতুন টার্মিনাল যার নির্মাণ কাজ ২০২৪-২৫ এ শেষ হবে। চ্যানেলটির গভীরতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। বন্দর উন্নয়নে মোট ১২টি কমপোনেন্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ। 

এরবাইরে
- ৭১ নটিক্যাল মাইল নৌপথ খনন করে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে
- মংলা থেকে নেপাল ও ভুটান হয়ে রেল লাইন যাবে কলকাতা পর্যন্ত, যার কাজ শুরু হয়েছে। 
- খুলনা রেল টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে মংলাকে
- সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে

** মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত