নতুন মুদ্রানীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ
নতুন মুদ্রানীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি (জানুয়ারি-জুন) ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপ সামাল দিতে বাজারে অর্থ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকে নীতি সুদহার নির্ধারিত হবে ৬ শতাংশ। এতদিন যা ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি ঋণের সুদহার পুরোপুরি তুলে না দিলেও ভোক্তাঋণে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেই সঙ্গে আমানতের সুদ হারের সীমা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মুদ্রানীতিতে রেপো সুদ হার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৬ ভাগে পুননির্ধারণ করা হয়েছে। রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪.২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ লক্ষ্য একই রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা৷ আগামী জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। জুলাই-ডিসেম্বরের মুদ্রানীতিতেও যা ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, বিদেশি মুদ্রার সরবরাহে টান, টাকার দরপতন, মূল্যস্ফীতি আর চলতি হিসাবে ঘাটতি বৃদ্ধির মত পরিস্থিতিতে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সরকারের জাতীয় বাজেট বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ জানিয়ে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে কী পরিমাণ মুদ্রা সরবরাহ করা হবে- তার একটি আগাম ধারণা দেওয়া হয় মুদ্রানীতিতে। গত জুলাইয়ে গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করা আব্দুর রউফ তালুকদারের প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা হলো আজ।
এর আগে গত বছর ৩০ জুন মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে অর্থের জোগান কমানোর লক্ষ্যে রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) সুদহার বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ‘সংকোচনমুখী’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন গভর্নর ফজলে কবির।
তখন বলা হয়েছিল এ মুদ্রানীতি হবে এক বছর মেয়াদের, যা জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে বাজার সামাল দিতে সেপ্টেম্বরে রেপো হার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এখন ছয় মাসের মাথায় আবারও মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক সময়ে ছয় মাসের জন্যই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হত। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে এক বছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রচলন শুরু করেন সাবেক গভর্নর ফজলে কবির। আগের মত বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পরামর্শ এসেছিল মাস দুয়েক আগে ঋণ নিয়ে ঢাকায় আলোচনা করতে আসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের কাছ থেকেও। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকও তাতে সম্মতি দিয়ে ছয় মাসের মুদ্রানীতি করার কথা বলেছিল। এর ধারাবাহিকতায় আজ ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতির ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`