এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে সুবিধা প্রদানের নির্দেশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের ৬ মাসের মধ্যে সুবিধা প্রদানের নির্দেশ
সারা দেশে এমপিওভুক্ত ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে আনুপাতিক হারে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মামুন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রায়ে আদালত বলেন, এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে, না দিলে আদালত অবমাননা হবে।
হাইকোর্ট বলেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকদের অবসরের সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারেন না।
এদিকে রায়ের পর শিক্ষক-কর্মচারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, সারা দেশের এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরকালীন সুবিধা পেতে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম।
২০১৭ সাল পর্যন্ত এ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ছয় শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। সেই কর্তনকৃত টাকাসহ সুবিধা অবসরের পর দেওয়া হতো।
এ অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও ছয় শতাংশের যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়।
যে কারণে রিট আবেদনে বলা হয়, যাতে ১০ শতাংশের সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করা হল।
এর আগে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়েছে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)। পরদিন মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`