মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

১৩:৪২, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

২২৪

গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশ

রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩০ দিনের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পরে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করে বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। গুলশান শপিং সেন্টারের হোটেল, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।

এর আগে জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুলশান শপিং সেন্টারকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়।

অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান বলেন, শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও তারা সেটি করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ, পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করা হলেও ব্যবসায়ীরা পরিত্যক্ত ভবনটি খালি করছে না। খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধানের ১৭(১) ও ১৭(২) অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ, ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মার্কেটটির গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সিলগালা করা হয়। এ সময় মাইকিংও করা হয় এবং মালামাল সরানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত