সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন: হাইকোর্টের রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৬:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৬:২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

৪৯৯

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন: হাইকোর্টের রুল

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

বুধবার ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাউছার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই আবেদনের শুনানি হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী হুমায়ন করিব পল্লব বলেন, ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটা সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, পাশাপাশি ভিকটিম ১৪ শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।'

একই সঙ্গে সারা দেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি গাইড লাইন তৈরিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবেনা তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনাটি বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন এ আইনজীবী। আদালত তখন তাকে রিট করতে বলেন। এরপর তিনি রিট দায়ের করলে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেয়।

এদিকে, সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।

**শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া সেই শিক্ষকের প্রতিষ্ঠানিক পদ থেকে পদত্যাগ

**১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

এদিকে ওই ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মত অনশনে চালিয়ে যাচ্ছেন একদল শিক্ষার্থী।

ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিজেই কাঁচি হাতে ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে। সেই শিক্ষার্থীদের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়।

এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন। যদিও তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত