বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯, পানিবন্দি আরও ৭ লাখ পরিবার
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯, পানিবন্দি আরও ৭ লাখ পরিবার
দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দেশের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এখনও দেশের ১১টি জেলায় ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ‘চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এখনও দেশের বন্যা আক্রান্ত জেলা ১১টি। সেগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর এবং কক্সবাজার। আর চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। আর মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
এখনও দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যা প্লাবিত রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা রয়েছে ৫০৪টি বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে পানিবন্দি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের বিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তশানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।
বন্যায় ৫৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন এবং শিশু ১২টি। এদের মধ্যে কুমিল্লায় মারা গেছেন ১৪ জন, ফেনীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ছয় জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও কক্সবাজারে তিনজন এবং মৌলভীবাজারে একজন।
এছাড়া এই সময়ে মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
বন্যায় পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও বিবরণীতে জানানো হয়।
বিবরণীতে বলা হয়, ১১টি জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৫১৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা এবং ২০ হাজার ৬৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ৩৫ লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য এবং ৩৫ লাখ টাকা গো-খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`