বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, সতর্কতা জারি
বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, সতর্কতা জারি
রাঙামাটিতে শুক্রবার থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বেশকিছু বিভাগে সর্বাধিক বৃষ্টি হতে পারে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া চলতি বর্ষায় রাঙামাটিতে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস। এতে তৈরি হয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। রাঙামাটি সদরে ৫ হাজার পরিবার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে কোনো সময় বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে পাহাড় ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সতর্কবার্তা জারি করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হচ্ছে। রোববার সকাল থেকে শহরে এবং উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে সতর্কবার্তা প্রচারের মাধ্যমে ঝুঁকিতে বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস জানায়, রাঙামাটিতে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে রাঙামাটি শহরে এখনও ৫ হাজার পরিবারের মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে বলে জানা গেছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এসব পরিবারের লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলা সদরে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি পৌরসভার তথ্যমতে, শহরের আনাচে-কানাচে প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মানুষ আজও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরও বহু পরিবারের মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মানুষ পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে বসবাস করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, সদরসহ জেলায় সম্ভাব্য পাহাড়ধসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া আছে। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যারা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছেন তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। শহর এলাকায় ৩১টি পাহাড়ধসের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। শহরে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া কাপ্তাই, নানিয়ারচর ও কাউখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্য, নারী-শিশুসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের বিপর্যয় না ঘটে সবাইকে সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। কী পরিমাণ মানুষ পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে তার তালিকা তৈরির জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির পরবর্তী ২০১৮ সালের জুনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ধসে ২ শিশুসহ ১১ জন এবং ২০১৯ সালের জুনে জেলার কাপ্তাইয়ে তিন জনের প্রাণহানি ঘটে। জেলা শহরে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ৩১টি স্থানের মধ্যে ভেদভেদী, শিমুলতলী, রূপনগর, যুব উন্নয়ন এলাকা অন্যতম।কিন্তু বিপরীতে ওইসব এলাকায় জনবসতি বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`