মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শেরপুরের পাহাড়ে বাড়ছে লটকন চাষ

বাসস

১১:৪৭, ১১ আগস্ট ২০২৩

২৭৩

শেরপুরের পাহাড়ে বাড়ছে লটকন চাষ

জেলায় গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে রোপণ করা প্রতিটি গাছে থোকায়-থোকায় ঝুলছে লটকন। গাছের গোড়া, কান্ড ও ডালে-ডালে ঝুলে আছে লটকনের থোকা।

স্থানীয় বাজারগুলোতে ব্যাপক চাহিদা মিষ্টি ও রসালো ফল লটকনের। চাহিদা থাকার পাশাপাশি খরচ কম ও অল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় পাহাড়ে বাড়ছে এই ফল চাষের আগ্রহ। আর এসব লটকনের বাগান বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এদিকে পাহাড়ি এসব এলাকায় লটকন চাষে যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ।

বাউসা গ্রামের লটকন চাষি হামিদুল্লাহ জানান, ২০০৭ সালে নরসিংদীর ওজিলাব গ্রাম হতে ১২০টি চারা নিয়ে আসেন। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ৩৫টি গাছে ফল আসা শুরু করে। তারপর ২০১৬ সাল হতে সবগাছেই ফল আসলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে হামিদুল্লাহ। এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাগান বিক্রি করেন এ কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, আমার বাড়ির পিছনে পতিত ছায়াযুক্ত জমিতে গাছগুলো রোপণ করি। আমাদের এ গ্রামে এখন ছোটবড় বেশ কয়েকটি বাগান রয়েছে। আশা করছি সামনে ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে।
জেলা কৃষি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিবানী রাণী নাথ বলেন, গারো পাহাড়ের মাটিতে লটকন চাষের প্রায় সব গুনাগুন রয়েছে। তাই এসব পাহাড়ি গ্রামে লটকনের ভালো আবাদ হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমে অন্যতম ফল লটকন। লটকন গাছে শীতের শেষে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেবর মাসে লটকন পাকে। যে কোন ফলের চেয়ে, অনেক লাভজনক লটকন চাষ করা। এর স্বাদ টক-মিষ্টি। এখন ফলটি বাজারে বেশ দেখা যাচ্ছে এবং দামও চড়া। চাষাবাদে কম খরচ, কম পরিচর্যা ও লাভজনক হওয়ায় এখানে লটকনের আবাদ বেড়েই চলছে। কৃষি বিভাগ সবসময় চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত