পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপি’র সক্ষমতা বাড়াতে প্রচেষ্টা চলছে: ভার্মা
পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপি’র সক্ষমতা বাড়াতে প্রচেষ্টা চলছে: ভার্মা
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আজ বলেছেন, পণ্য ও যাত্রী পরিবহন সহজ করতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সমন্বিত চেকপোস্ট (আইসিপি)’র সক্ষমতা বাড়াতে প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে ৭০ শতাংশের বেশি দ্বিপক্ষীয় স্থলবাণিজ্য চলমান রয়েছে।
ভারতীয় হাই কমিশন ইস্যুকৃত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হাইকমিশনার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।’ হাইকমিশনার বলেন, এই স্থল বন্দরের যোগাযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো বাড়াতে এবং এই সীমান্ত দিয়ে পণ্য ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পরিবহন নিশ্চিতে উভয় দেশেই প্রচেষ্টা চলমান আছে। পেট্রোপোল-বেনাপোল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।
পরিদর্শনকালে ভার্মা উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তাদের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, এই স্থলবন্দরটিকে গুরুত্ব দিয়ে যাত্রী চলাচলের সুবিধার জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আধুনিক সুবিধাসহ একটি নতুন প্যাসেঞ্জার ট্রার্মিনাল বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়েছে এবং ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত যাত্রীর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংয় নির্মাণাধীন রয়েছে। অধিকন্তু, ভারত সরকারের সহায়তায় একটি দ্বিতীয় কার্গো টার্মিনাল গেট নির্মিত হতে যাচ্ছে। এটা সম্পন্ন হলে, প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে দ্বিগুণ যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত তিন বছরে ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত তার বৈচিত্রময় বাজারের কারণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।’
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`