মানিকগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামীর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক স্ত্রী-সন্তান
মানিকগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামীর মৃত্যু, আশঙ্কাজনক স্ত্রী-সন্তান
মানিকগঞ্জ জেলা পশু হাসপাতালের পাশের একটি বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ রাশেদুল ইসলাম (৪৫) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে নিহতের দগ্ধ স্ত্রী ও শিশু সন্তানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নিহত ওই ব্যক্তির বড় ভাই মো. রসুলদী গণমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
দগ্ধদের পরিবার সূত্রে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনের একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি। সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে বাসার দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ফ্ল্যাটের একরুমে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮) এবং অন্য রুমে রাশেদুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও আড়াই বছরের সন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে সবাইকে ডেকে তুলে। পড়ে রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফ্ল্যাটের একটি রুমের দেয়াল ধসে যায়। এতে রাশেদুল, তার স্ত্রী সোনিয়া, শিশু রিফাত ও দোকানের কর্মচারী ফারুক দগ্ধ হন।
তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রাশেদুল, তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে পাঠানো হয়। দগ্ধ ফারুককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী জানান, তার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনসিস্টটিউটে ভর্তি করা হয়। পড়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে তার ভাইকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকেরা তার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজাকেও ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ফারুক হোসেন বলেন, তিতাস গ্যাসের লাইনে গ্যাস না থাকায় গত সোমবার সংযোগ চালু রেখেই সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার ভোরে কক্ষের ভেতর উৎকট গন্ধ ছড়ালেও আমরা তা বুঝতে পারিনি। দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা (লিডার) বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু ছিল। পড়ে কোনো কারণে আগুন জ্বালানোর পর বন্ধ রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`