কক্সবাজারের সদর উপজেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। ঘটনার দুদিন পর সোমবার রাতে তিনজনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।

মামলায় আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮)। অপর দুই আসামি অজ্ঞাত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়ায় তার এক ভাগনির মেহেদি অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়ার সঙ্গে সাময়িক পরিচয়ে কিছু সময় কথা হয়। অনুষ্ঠান শেষে পরদিন শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে ইজিবাইকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করেন বেদার ও তার সহযোগীরা। তাকে জোর করে অন্য ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, ওই শিক্ষিকা রামুতে একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত। কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানলে তারা থানায় যোগাযোগ করেন।

সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দুজনসহ মোট তিন জনের নামে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।