সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চট্টগ্রামে ঝিমিয়ে পড়ছে পুলিশের চেকপোস্ট, সড়কে যানজট

রাজিব শর্মা, চট্টগ্রাম

১৭:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৭:২৭, ২১ এপ্রিল ২০২১

৭১১

চট্টগ্রামে ঝিমিয়ে পড়ছে পুলিশের চেকপোস্ট, সড়কে যানজট

চলমান লকডাউনের সপ্তম দিনে মূল সড়কের পাশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি, কার, মোটর সাইকেলগুলোতে দেখা যায় বিপরীত চিত্র। উবার ও পাঠাওয়ের নামে তিনগুণ বৃদ্ধিতে চলছে সাধারণ মোটর বাইকগুলো। বলা যায় সামাজিক দূরত্বতার বালাই ও নেই।

লকডাউনের শুরুর দিকে চেকপোস্টগুলোতে পুলিশ-প্রশাসনের কড়া নজরদারি দেখা গেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঝিমিয়ে পড়েছে চেকিং পোস্ট ব্যবস্থা। সেই সুযোগে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে গাদাগাদি করে লোকজন বসিয়ে ভাড়ায় চালিত হচ্ছেন পাঠাও ও ওভার খ্যাত সাধারণ মোটর সাইকেল বাহিনীরা। অন্যধিকে বিভিন্ন প্রশাসনের স্টিকার, লোগো ব্যবহৃত তিনগুণ বৃদ্ধিতে ভাড়ায় চালিত হচ্ছে কার ও সিএনজি ট্যাক্সিগুলো।

চট্টগ্রামের আরাকান রোড, পিএবি রোড, কর্ণফুলী মইজ্জারটেক, অলঙ্কার মোড়, মুরাদপুরের প্রধান সড়কগুলোর মোড়ের চেকপোস্টগুলোতেও পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও দেখা গেছে যতেষ্ট অবহেলা। বলা যায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ঝিঁমিয়ে পড়ছে পুলিশের 'মুভমেন্ট পাস' চেকিং সিস্টেম। দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শুরুর কয়েক দিন কড়াকড়ি এই ব্যবস্থা চললেও ষষ্ট ও সপ্তম দিন 'মুভমেন্ট পাস' এর তেমন প্রভাব পড়েনি।

কেন এই গাছাড়া ভাব এ বিষয়ে কেউ কিছু না বললেও অনেকের ধারণা, চেকপোস্ট ঘিরে চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সঙ্গে পুলিশের ‘বিতর্কিত’ কিছু ঘটনার কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, চেকিং সিস্টেম ঢিলেঢালা বা  ঝিঁমিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। লকডাউনের বিধিনিষেধ মতে নিশ্চিতে যথাযথভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

দক্ষিন চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতে লকডাউনের ছোঁয়াও নেই, ঈদের কেনাকাটা, লুঙ্গিজুতার দোকান, কুলিং কর্নার, পথে পথে ইফতার বিক্রি, সবই খোলা। রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজি চালিত ট্যাক্সি, ট্রাক সবই চলছে, চলছে না শুধু যাত্রীবাহী বাস ও রেস্তোরা। দুপুরের পর থেকে কেইপিজেড গার্মেন্টস কর্মীদের শতাধিক বাসের ফাকঁফোকরে গার্মেন্টস কর্মী পরিবহনের স্টিকার লাগিয়ে সাধারণ যাত্রী নিতে দেখা যায় সাধারণ যাত্রীবাহী মিনিবাসগুলোতেও।

অন্যদিনের তুলনায় বেড়েছে প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা। চেকপোস্টে এসব থামাতে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া, চন্দনাইশ এলাকা ঘুরে করোনা নিয়ে এসব 'পাবলিক নাটকীয়তা'র চিত্র দেখা যায়। 

বুধবার (২১ এপ্রির) বিকালে ফকিরনীরহাট রাস্তার মাথা মাছের বাজারেও দৈনন্দিন বাজারের মত ছিল ভিড়। গ্রাম পুলিশ বা এলাকার প্রতিনিধিদের নেই নিষেধাজ্ঞা। এলাকায় মূল সড়কে কোনো বাস চোখে না পড়লেও প্রচুর রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও অটোরিকশা দেখা গেছে। কোনো কোনো সড়কে যানবাহনের চাপে সড়কে ধীরগতিও লক্ষ করা যায়। পুলিশের কোন বাধা, চেকিং নেই। মোড়ে মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় লোকজনদেরকে। তাদের বেশির ভাগের ছিল না মাস্ক। নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশের। 

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের দ্বিতীয় দফা ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত । 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত