ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢুকলো খাতুনগঞ্জে
ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢুকলো খাতুনগঞ্জে
দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (২ জানুয়ারি) থেকে আবারও শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেয়াঁজ আমদানি। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আসা এসব পিঁয়াজ ইতোমধ্যে দেশের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আসতে শুরু করেছে। রবিবার সকালে পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে।
খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, দিনাজপুরের হিলি, সাতক্ষীরার ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। শনিবার আমদানি শুরু হলেও খুব দ্রুত তা বাজারে চলে এসেছে পেঁয়াজ। রবিবার সকালে খাতুনগঞ্জে পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকেছে। এসব পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার ফলে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রায় প্রত্যেক ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ থাকায় আমদানিকারকরা লোকসানের ভয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছেড়ে দেয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পাইকারী বিক্রেতারা।
খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার খবরে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর, হল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পেঁয়াজের দরপতন ঘটেছে। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজেরও দাম কমেছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়। পরে সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাস করার পর ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের মত মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, গত ছয় মাসে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, ইরান ও রাশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে দুই লাখ ৯ হাজার ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আরপি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তার বিপরীতে এই পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ফারাক মাত্র দুই লাখ টনের। বছরে দেশে পেঁয়াজ হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে। আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে দশ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কারণ দেশে উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য যে আধুনিক তাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকা দরকার, তা সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায়ে নেই।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`