অনিয়ম বের করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আয় ১৫৩ কোটি টাকা
অনিয়ম বের করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আয় ১৫৩ কোটি টাকা
২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ২৯৫ চালানের অনিয়ম খুঁজে বের করে ১৫৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এর এআইআর শাখার এক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০৭টি চালান লক করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ২৯৫ চালানে অনিয়ম খুঁজে পায় কাস্টমস।
এ অনিয়মের বিপরীতে শুধু রাজস্ব আদায় করা হয় ১১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর দায়ে জরিমানা আদায় করা হয় ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক করা চালানের অনিয়ম উদঘাটনে মোট অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা চালানে কোনো প্রকার ত্রুটির তথ্য পেলেই তা লক করে দেয় কাস্টমস। মিথ্যা ঘোষণায় দ্রব্য ফাঁকি রোধে চালানের পণ্য শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে মিল-অমিল শনাক্ত করে কাস্টমস গোয়েন্দা দল। এতে চালানে পণ্য কম-বেশি, অবৈধ পণ্য এবং রাজস্ব ফাঁকির কোনো সুযোগ থাকে না।
এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ২১২টি চালান লক করা হয়। এর মধ্যে ৯৩টি চালানের অনিয়ম উদঘাটিত হয়। এতে রাজস্ব আদায় হয় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগস্টে ১৬১টি লক করা চালানের বিপরীতে ৬৯টি চালানে অনিয়ম পাওয়া যায়। এতে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ১৯৪টি চালান লক করা হয়। অনিয়ম ধরা পড়ে ১১৯টি চালানে। অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয় ২২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
অক্টোবরে ২৫২টি চালানের বিপরীতে ১৪৪টি চালানে অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয় ১৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। নভেম্বরে ২৬৭টি চালান লক করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ১২৬টি চালানে অনিয়ম পাওয়া যায়। এতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয় ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ২৭৬টি চালান লক করে ১৩৯টি চালানে অনিয়ম পাওয়া যায়। এতে রাজস্ব আদায় হয় ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৩১৬টি চালান লক করা হয়। অনিয়ম পাওয়া যায় ১৬৬টি চালানে। এতে করে কাস্টম অতিরিক্ত রাজস্ব পায় ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ২৩৭টি লককৃত চালানের মধ্যে ১০৬টি অনিয়ম ধরা পড়ে। তাতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয় ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মার্চে ১৮৬টি চালান লক করা হয়। অনিয়ম ধরা পড়ে ৭৪টি চালানে। রাজস্ব আদায় হয় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
এপ্রিলে ১৩৭টি চালান লক করে অনিয়ম ধরা পড়ে ৪৪টি চালানে। এতে করে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মে’তে ১৮৪টি লককৃত চালানের মধ্যে ৯৭টিতে অনিয়ম খুঁজে পায় কাস্টম। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জুনে ২৮৫টি চালান লক করে ১১৮টি চালানে অনিয়ম উদঘাটিত হয়। এতে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
দেশের রাজস্ব আহরণের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির বেশিরভাগ রাজস্ব আদায় করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৪১ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।
এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, এআইআর শাখায় নজরদারি বাড়ানোর ফলে জালিয়াতির ঘটনা কমে যায়। এ ছাড়া চালান আটক করে কয়েকগুণ জরিমানা করার কারণে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে। ফলে কাস্টমসের সব শাখায় রাজস্ব আদায় বেড়ে যায়। ক্লাস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করে জালিয়াতি, বিভিন্ন চালানে বড় ধরনের রাজস্ব ফাঁকি রোধ এবং নজরদারি বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় বাড়ছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`