১৮ শর্তে মোহাম্মদপুরে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
১৮ শর্তে মোহাম্মদপুরে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
১৮ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আগামীকাল শনিবার বেলা আড়াইটায় মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে দলটিকে শান্তি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শেখকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফ।
গত ৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান পিন্টু নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করেন। পরের দিন ৮ মে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শেখ।
আওয়ামী লীগকে দেওয়া শর্তগুলো হলো:
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১১. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া করা যাবে না।
১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৫. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`