সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
[ফাইল ছবি] |
ফুসফুসের পানি অপসারণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে পৌঁছান সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিটে।
গত ২ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। সে সময় বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ৩০ মার্চ বাসায় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
সেই সুপারিশ মেনে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেগুলো বাসায় করানো সম্ভব হয় না, সেগুলো করানো হয়। পরের দিনও (৩১ মার্চ) কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে উনি (খালেদা জিয়া) গত সোমবার থেকে ধীরে ধীরে সুস্থতা বোধ করেন। পরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় বসে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তার বয়স এবং বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের চেয়ে বাসায় রেখে চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করে বোর্ড।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত ৩০ মার্চ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁর সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।
মুক্তি পাওয়ার পর কোভিড, লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি নেত্রীকে। এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সেই সুযোগ না থাকায় অনুমোদন দেয়নি সরকার। এই চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এনে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`