তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা শুরু শুক্রবার
তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা শুরু শুক্রবার
পৌষ পেরিয়ে চলছে মাঘ মাস। আবহমান বাংলার শীত মানেই পিঠা-পুলি, পায়েস। শহরের মানুষও এখন পিঠার কদর বুঝতে পারে। তাই পিঠা-পুলির আয়োজনে লোকসমাগম হয় বেশ। দেশীয় নানা ধরনের পিঠার সঙ্গে বাংলার চিরায়ত গান, নৃত্য, যাত্রা, সংযাত্রা উপভোগের সুযোগ নিয়ে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হবে আরেকবার।
রাজধানীর ওয়াইজঘাটে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বুলবুল ললিতকলা একাডেমির মাঠে তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হবে শুক্রবার। এদিন সকাল ৯টায় পৌষমেলা উদ্বোধন করবেন নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। আয়োজনে পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ।
বুধবার শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, মাহমুদ সেলিম, ডালিয়া নওশীন, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, পৌষমেলার মূল উদ্দেশ্য- গ্রামীণ সংস্কৃতির নান্দনিক উপহার পিঠা-পুলি, মালপোয়া-নকশি পিঠা, চিতই, ভাপা, চই, পাটিসাপটা, নলেন গুড়ের পায়েস ইত্যাদির উপস্থাপন। বার্গার-হটডগের আগ্রাসী কবল থেকে এই প্রজন্মকে সরিয়ে পিঠা-পুলির স্বাদ গ্রহণে অভ্যস্ত করা। সেই সঙ্গে পরিশীলিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপস্থাপনের মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রোধ করা। বিকৃতি আর ফিউশনের জাঁতাকলে পড়ে আমাদের লোকগান আজ বিপন্ন। স্থানে স্থানে বাউল শিল্পীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। কেন এই আক্রমণ আর কেন-ই বা লোকগান নিয়ে যথেচ্ছাচার? গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই আয়োজন তিনদিনই লোকগানে বিভোর থাকবে।
তিনি বলেন, মেলা বা উৎসব হচ্ছে মানুষের মিলনক্ষেত্র। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং নবান্নের আনন্দে বিভোর গ্রামীণ জনপদ আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে। সেই স্মৃতি, সেই আনন্দ, সেই তালপাতার বাঁশি আজো আমাদের কিশোর বেলাকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। গ্রামীণ সমাজ এখন সংস্কৃতি বিমুখ হয়ে পড়েছে, নগর সভ্যতা ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে গ্রামীণ সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। গ্রামে গ্রামে কীর্তন বা কবিগানের আসর বসতো। এখন সবই অস্তমিত। এবারের আয়োজনে থাকছে সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, বাউল গান, যাত্রা, সংযাত্রাসহ নানা কিছুর উপস্থাপন।
পৌষমেলার প্রথম দিন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা, উঠোন, ঋষিজ ও উদীচীর শিল্পীরা। একক গান গেয়ে শোনাবেন খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, সৃজ্যোতি রায়, অলোক দাশগুপ্ত, সুরাইয়া পারভীন, ফকির সিরাজ, লামিয়া ঐশ্বর্য, সমর বড়ুয়া প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন শিশু দল, গেন্ডারিয়া কিশলয় কচিকাঁচার মেলা, স্বরতরঙ্গ। এ ছাড়াও থাকবে আবৃত্তি।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`