ধানমন্ডিতে প্রাইভেট কারে আগুন
ধানমন্ডিতে প্রাইভেট কারে আগুন
সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির পঞ্চম দফা অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
adএর আগে, অবরোধের আগের রাতে রাজধানীতে আরও ৪টি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় তিনটি ও মিরপুর-১০ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক তিন জন হলেন মো. হাফিজুর রহমান, শহীদুল ইসলাম ও মো. শামীম।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে মিরপুর–১ এর বেড়িবাঁধ এলাকায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাস দুটি সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাস দুটিতে কোনো যাত্রী ছিল না। এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে এবং রাত ১১টার দিকে বেড়িবাঁধের দ্বীপনগর এলাকায় আরেকটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর নয়টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি ও ১৩ নভেম্বর সাতটি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
এসব আগুনের ঘটনায় পুড়েছে ৯৪টি যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ডভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপি অফিস পাঁচটি, আওয়ামী লীগ অফিস একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি ও দুটি শো-রুম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে নয়টি, বরিশাল বিভাগে ছয়টি, রংপুর বিভাগে ছয়টি, খুলনা বিভাগে দুটি, ময়মনসিংহ বিভাগে একটি আগুনের ঘটনা ঘটে।
গত ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও।
বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন শতাধিক। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
ওই দিন সন্ধ্যায় রোববার সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। হরতালের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তাদের কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে দলটি।
২৮ অক্টোবরের সহিংসতার ঘটনায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাহিরে যারা আছেন তারাও প্রকাশ্যে আসছেন না।
২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়টিও তালাবদ্ধ। হরতাল–অবরোধের কর্মসূচিগুলো আসছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ঋণখেলাপীর মিথ্যা মামলায় ডিএমডিকে হয়রানি, এবি ব্যাংকের প্রতিবাদ
- পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম ক্লিনিক্যালি ডেড, লাইফসাপোর্ট খোলার সিদ্ধান্ত
- সরকার ই-কমার্স ফ্রেন্ডলি, এখনই ২০০০ কোটি টাকার মার্কেট এক্সপ্লোর করা সম্ভব
- জাতিসংঘ ৭৭-তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা, কি থাকছে?
- আরজে কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে এসে ২৫ বছর পর বাবা-মাকে খুঁজে পেলেন মেয়ে
- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন আজ
- ঢাকায় বসবে ২৫৮কি.মি. পাতাল রেল, কোথা থেকে কোথায়?
- করোনা পরীক্ষায় প্রতারণাকে নির্মম বাণিজ্য বললেন ওবায়দুল কাদের
- মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
`বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়`