বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

০০:১২, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

৩১৫

প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডার ও পুলিশ ক্যাডারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন। দুই ধাপে ২৩০ জন কর্মকর্তা এতে অংশ নেবেন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ হবে শনি ও রবিবার; আর দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হবে ২৮-২৯ অক্টোবর।

এর আগে সেপ্টেম্বরে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশিক্ষণ সূচিতে নির্বাচনী আইন, বিধিমালা, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, আচরণবিধিসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় করণীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে ভোট সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় সব লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

ইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, দুই দফা প্রশিক্ষণের প্রতি ধাপে চারজন করে বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ৩২ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি), ৩২ জন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থাকবেন। প্রথম ধাপে মোট ১১৬ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ১১৪ প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেবেন।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার সংস্কার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি সামগ্রিক আইন-কানুনের ধারণা ও কমিশনের দিক নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হবে এই প্রশিক্ষণে।  মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, আপিল নিষ্পত্তি, প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণা থেকে ফল ঘোষণা- প্রতিটি পর্যায়ের কার্যক্রমে আইন-বিধিতে রয়েছে।

সাধারণত সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন জেলা প্রশাসকরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় পুলিশ সুপার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভাল করেন।

ডিসেম্বর মাসে শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্ততি চলছে কমিশনে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম এবং মাঠ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে সার্বিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে থেকে উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ নির্বাচনে ৪২ হাজার হাজারের বেশি প্রিজাইডিং অফিসার, আড়াই লাখের বেশি সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং সোয়া পাঁচ লাখের মতো পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইটিআই মহাপরিচালক জানান, ধাপে ধাপে মাঠ পর্যায়ে সব প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার নিয়ে সব ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রযুক্তি নির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জেলা ও উপজেলা সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদেরও আলাদা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে।

প্রায় ১২ কোটি ভোটারের এ নির্বাচনে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র থাকছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০ লাখেরও বেশি লোকবল প্রয়োজন হবে বলে জানা গেছে।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত