রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেসে বিকট বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জন হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে ওই এলাকা বিকটভাবে কেঁপে ওঠে। ঘটনায় নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৩টি ইউনিট কাজ করছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি।

ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, ৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের পুরনো একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়েছে।

ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মিশে গেছে।

পাশের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় ছিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজেয় বাংলার অফিস। বিস্ফোরণে অফিসের কাঁচ ভেঙে গুরুতর আহত হয়েছেন গণমাধ্যমটির সম্পাদক মাহমুদ মেনন ও নির্বাহী সম্পাদক পলাশ মাহবুব। তারা দুজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। 

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণ ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে মোট ছয়জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

আহতদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৩২ জনকে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মগবাজারের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগে আরও অনেক রোগী আসছেন।