ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৫
শঙ্কিত পদযাত্রা
ধারাবাহিক আত্মকথা
। খ ম হারূন ।
খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।
[পর্ব-২৫]
মোনাজাতউদ্দিন আমার প্রিয় একজন মানুষ। একজন চারণ সাংবাদিক। মফস্বল সাংবাদিকতাকে যিনি জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় করেছেন। তার প্রতিটি রিপোর্টে উঠে এসেছে বঞ্চিত মানুষের কথা, দেশের কথা, জনজীবনের কথা। শুধু জনজীবন নয় দেশের উত্তরাঞ্চলে সে সময়ের বিরোধী দলীয় দুই নেত্রীর (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া) সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে। মাত্র ১৮-২০ বছর বয়সে মওলানা ভাসানীর সাথেও তার সখ্য ছিলো, ছিলো অনেক স্মৃতি।
১৯৮৮ সাল। আমি তখনো টিকাটুলির ইলিসিয়াম রেস্ট হাউজে থাকি। অধ্যাপক কাজী সিরাজও থাকেন একই ভবনে। তিনি তখন আমার ‘সৃজন’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। একদিন সিরাজ ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন মোনাজাতউদ্দিনের সাথে। অনেক দিন ধরে তিনি আমার সাথে আলাপ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন বলে জানালেন। আমিও সিরাজ ভাইয়ের মাধ্যমে তাঁর মতো একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেলাম। ভীষণ বিনয়ী, লম্বা, মেদহীন, প্রতিভাবান একজন মানুষ মোনাজাতউদ্দিন, কয়েকদিনের মধ্যেই আমার বন্ধুদের একজন হয়ে গেলেন।
১৯৮৯ সালে আমি ইলিসিয়াম রেস্ট হাউজের বদলে ধানমন্ডি ৭ নাম্বার রোডে নতুন সরকারি বাসা পেয়ে গেলাম। বাসার নাম কোনার্ক। নীচতলায় থাকি। কাজী সিরাজ ভাইও নতুন বাসা পেলেন। কোনার্ক এর ঠিক উল্টো দিকে ঊষা’র পাঁচ তলায়। মোনাজাতউদ্দিন তখন প্রায়ই রংপুর থেকে ঢাকায় আসতেন। আড্ডা দিতে আসতেন কখনো আমার অফিসে, কখনো আমার বাসায়। কখনো চলে আসতেন আমার নাটকের শ্যুটিং দেখতে। তখন তিনি 'সংবাদ' এ চাকরি করেন উত্তর বঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে। সাংবাদিক হিসেবে তার পথচলার অনেক গল্প শুনি। একদিন কথায় কথায় বললাম আপনার এই অসাধারণ রিপোর্টগুলো বই আকারে প্রকাশ করছেন না কেনো? বিনয়ের সাথে বললেন, এই মফস্বল সাংবাদিকের বই কে প্রকাশ করবে! তাঁর মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারলাম, বই তাকে প্রকাশ করতেই হবে। কোনো সহযোগিতা লাগলে পাশে থাকবো।
অবশেষে তার প্রথম বই বের হলো। পথ থেকে পথে। বইটির মুখবন্ধে ‘সংবাদ’ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বজলুর রহমান লিখলেন - মোনাজাতউদ্দিন ‘পথ থেকে পথে’ ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহুদিন, বলতে গেলে সারাজীবন। তাঁর চলার পথ, বলাবাহুল্য, রাজপথ নয়, জনপথ। কখনও বা মেঠোপথ। মাটির মানুষ যেখানে কাজ করে, ফসল ফলায়, যেখানে নিত্য সে লিপ্ত সুকঠিন জীবন সংগ্রামে, সেখানেই তাঁর আসা-যাওয়া। বহুদিন আগে সুভাষ মুখোপাধ্যায় গ্রাম বাংলার সংগ্রামী মানুষের অমর আলেখ্য রচনা করেছিলেন তাঁর ‘অমর বাংলা’য়। সত্যেন সেন লিখেছিলেন ‘গ্রাম বাংলার পথে পথে’। কৃতি সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের বর্তমান সংকলনটি সেই ধারারই অনুসারী।
শ্রদ্ধেয় বজলুর রহমান খুব অল্প কথায় মোনাজাতউদ্দিন সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। এই মানুষটি ‘পথ থেকে পথে’ গ্রন্থ আকারে বের হবার সাথে সাথে (জানুয়ারি ২৪, ১৯৯১) আমার বাসায় পঁচিশ কপি বই নিয় আসেন। বললেন ‘ঋণ’ শোধ করে গেলাম। আমি জানিনা কিসের ঋণ, তবে এটা জানি মোনাজাতউদ্দিনের সাথে আমার যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো তার মূল্য অপরিসীম।
এর একবছর পরে (জানুয়ারি ১৯৯২) তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বই প্রকাশিত হয়। কানসোনার মুখ এবং সংবাদ-নেপথ্য। ‘কানসোনার মুখ’ এর মুখবন্ধ লেখেন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত এবং ‘সংবাদ-নেপথ্য’ নিয়ে লেখেন প্রকাশক মফিদুল হক। এরপর তিনি লেখেন - নিজস্ব রিপোর্ট (১৯৯৩), পায়রাবন্দের শেকড় সংবাদ (১৯৯৩), ছোট ছোট গল্প (১৯৯৩), অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (১৯৯৫), চিলমারীর একযুগ (১৯৯৫), শাহা আলম ও মজিবরের কাহিনী (১৯৯৫)। তার আরো কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে পরে। এখনতো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। অনেক অনেক বিদেশি বই পড়ানো হয়। কোথাও কি মোনাজাতউদ্দিন পড়ানো হয়? আমাদের মাটি থেকে উঠে এসেছে যে সাংবাদিকতা তা মোনাজাতউদ্দিন না পড়লে বোঝা যাবেনা। ধন্যবাদ জানাই মাওলা ব্রাদার্সকে, যে প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে প্রকাশ করেছে দুই খন্ডে ‘মোনাজাতউদ্দিন রচনা সমগ্র’।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। মোনাজাতউদ্দিন একদিন বাসায় আড্ডা দিতে দিতে বলে ফেললেন, তাঁর অনেক দিনের ইচ্ছা তিনি টেলিভিশনের জন্য একটি নাটক লিখবেন, যদি খ ম হারূন সেটি প্রযোজনা করেন। এতোদিন কেনো তিনি সেটা বলেননি, উত্তরে খুব বিনয়ের সাথে বললেন, লজ্জায় বলতে পারিনি। বললাম, লিখে ফেলেন ‘পথ থেকে পথে’ বা ‘সংবাদ নেপথ্যে’ থেকে একটি সত্য ঘটনা অনুসরণে।
তিনি লিখলেন। নাটকের নাম দিলেন ‘সংবাদ নেপথ্য’। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, যাকে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন ফার্মগেট ফুটওভারের উপর চটের ছালা পরা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের বাইশ বছর পর। ভিক্ষা করা ছাড়া যার আর বিকল্প কোনো রাস্তা খোলা ছিলো না। নাটকের একটি চরিত্রে মোনাজাতউদ্দিন নিজেই ছিলেন। আরো দুটি প্রধান চরিত্রে ছিলেন তারানা হালিম ও রেজাউল একরাম রাজু। নাটকের রিহার্সেল হলো বেশ কয়েকদিন। নির্ধারিত প্রচার তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩।
এর মাঝে (সেপ্টেম্বর ১৯৯৩) একটি বিশেষ কাজে আমাকে মুম্বাই যেতে হয়। সেখানে দেখা হলো আমার নাট্য শিক্ষক বিভি কারন্থর সাথে। যিনি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’র (এনএসডি, দিল্লি) পরিচালক ছিলেন ১৯৭৭ থেকে বেশ ক’বছর। ভারতের থিয়েটার ও চলচ্চিত্রে তাঁর নামটি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়। পুরোনো ছাত্রকে পেয়ে তিনি অনেক গল্প করলেন। আমাকে সাথে নিয়ে ‘ওয়েস্টার্ন আউটডোর’ স্টুডিওতে গেলেন। দুপুরে একসাথে খেলাম। বহুদিন পর দেখা হলো বিশিষ্ট অভিনেতা এনএসডি’র মনোহর সিং, অনুপম খের, কবিতা চৌধুরী ও নিনা গুপ্তার সঙ্গে। কারন্থজি আমার কাজের খবর নিলেন। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে আমার পরবর্তি নাটক ‘সংবাদ নেপথ্য’র কথা বললাম। কারন্থজি খুব মনোযোগ দিয়ে গল্পটা শুনলেন। তিনি খুব কম কথা বলতেন। কিন্তু সেদিন অনেক কথাই বলেছিলেন। নাটকটি সম্পর্কে শুধু বললেন, মাটির গন্ধটা যেনো থাকে।
মুম্বাই থেকে ফিরে এসে নাটকের বাকি কাজ শেষ করলাম। সেপ্টেম্বর ১৩ ও ১৪ (১৯৯৩) তারিখে বিটিভির ৩ নং স্টুডিওতে রেকর্ডিং ছিলো। ১২ তারিখ দিনের বেলা আউটডোরের কিছু কাজ শেষ করে, রাতে টিভি অডিটরিয়ামে নাটকের মিউজিক রেকর্ড করি। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিমির নন্দী। কাজ শেষ করে গভীর রাতে বাসায় ফিরেছি। খেয়ে ঘুমাতে গেছি মনে আছে। তারপর আর বেশ কিছু সময়ের কথা মনে নেই। সকালে জেগে দেখি মাথার সামনে জেবু, দুই কন্যা - কিযী ও বৃতি। চেখে মুখে উৎকন্ঠার ছাপ। আরেক দিকে তাকিয়ে দেখি একটি চেয়ার টেনে বসে আছেন আমাদের প্রতিবেশী বিটিভি’র সরকার ফিরোজউদ্দিন ও ভাবী। বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে। মাথা প্রচণ্ড ব্যথা। অনেক কিছু মনে করতে পারছিনা। ফিরোজ ভাই ডাক্তারের সাথে কথা বলেছেন। সব কিছু যখন মনে পরলো তখন ফিরোজ ভাইকে বললাম আজতো রেকর্ডিং আছে। সেট তৈরি হয়ে গেছে। আউটডোরের কাজও কিছুটা করে রেখেছি। তিনি বললেন, তুমি চিন্তা কোরোনা। মোস্তফা কামাল সৈয়দ সাহেবের সাথে কথা বলেছি। প্রযোজক আবু তাহের আজ ও কালকে রেকর্ডিংটা করবে। এর মাঝে তারানা হালিম, রেজাউল একরাম রাজু, মোনাজাতউদ্দিন একে একে ফোন করে খবর নিচ্ছেন। সবাইকে ফিরোজ ভাই জানিয়ে দিচ্ছেন রেকর্ডিং হবে। আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করতে। ডাক্তার কি ঔষুধ দিয়েছে জানিনা। আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন মোনাজাতউদ্দিন বাসায় এলেন। আমার জন্য কিছু ফল নিয়ে এসেছিলেন। রেকর্ডিংয়ের কথা জিজ্ঞাসা করাতে বললেন, আপনি সুস্থ হন, তারপর হবে। তাহলে কি গতকাল রাতে রেকর্ডিং হয়নি? মোনাজাত ভাই বললেন, না, আপনি ছাড়া এ নাটকটি হবে না।
ডিসেম্বর ১৯৯৫। আমি পরিবারসহ কাঠমান্ডু গিয়েছিলাম। সিঙ্গার চেয়ারম্যান মাহবুব জামিল ভাই একটি কনফারেন্সে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন সেখানে সার্ক এর পরিচালক হিসেবে ছিলেন আমার বন্ধু লিয়াকত (পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত)। ৩০ ডিসেম্বর রাতে গিয়েছিলাম তাঁর বাসায়। খাবার আমন্ত্রণ। শুনলাম গতকাল (২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৫) দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ফেরির উপর থেকে যমুনা নদীতে পরে গিয়ে চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন মারা যান।
পেশাগত কাজের জন্য তিনি অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। মৃত্যুর পর ১৯৯৭ সালে তিনি একুশে পদক পান। মোনাজাতউদ্দিনকে নিয়ে আরো অনেক স্মৃতি আছে আমার। তবে একটা দুঃখ রয়ে গেছে। মোনাজাতউদ্দিনের নাটকটি আমার আর নির্মাণ করা হয়নি। ভেবেছিলাম হাতে তো সময় আছে। কিন্তু সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
আগের পর্বগুলো পড়ুন
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪
ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন - ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন [পর্ব-৩] - শোকস্রোতের নীলমণি: নাট্যদিশারী আফসার আহমদ
- ধারাবাহিক অনুবাদ উপন্যাস
১৯৮৪ ।। মূল: জর্জ অরওয়েল ।। অনুবাদ: মাহমুদ মেনন, [পর্ব-২] - ভ্রমণকাহিনী: ইরানি গোলেস্তান আর ঝর্ণার গল্প
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩
- রশীদ হায়দার আর নেই
- ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২৪
- সিলভিয়া প্লাথের শেষ বই