শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১ || ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০

খ ম হারূন

১৬:২৭, ৪ মার্চ ২০২১

আপডেট: ০৯:১৮, ৫ মার্চ ২০২১

১৯১৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২০

শঙ্কিত পদযাত্রা

ধারাবাহিক আত্মকথা

। খ ম হারূন ।

খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।

[পর্ব-২০]

শেষ পর্যন্ত 'সবিনয়ে জানতে চাই' অনুষ্ঠানের কি পরিণতি হবে বুঝতে পারছি না। কিবরিয়া সাহেবের গরম কথাগুলো তখনও কানে বাজছে। এর মাঝে সাংবাদিক আবেদ খান ফোন করলেন। বললেন, ‌‘আনিস ফোন করেছিলো, তুমি বাসায় থাকো, আমি আসছি।’ বেলা তিনটার দিকে আবেদ ভাই বাসায় এলেন। দেখলাম তিনিও যথেষ্ট রেগে আছেন কিবরিয়া সাহেবের উপর। আবেদ ভাই আমার বাসা থেকে আনিসুল হকের বাসায় চলে গেলেন, আমাকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে যেতে বললেন। 

আবেদ ভাই চলে যাবার পর তারানা হালিমের ফোন পেলাম। সে দুঃখ প্রকাশ করে জানালো তার খালুর সাথে (এসএমএস কিবরিয়া) আমি চলে আসার পর আরও কথা হয়েছে, আসলে উনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশে মিডিয়ার মানুষদের তিনি সেভাবে চেনেন না। আমার তখন আর কোনো কথা বলার ছিলো না। অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর স্যারের ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম। বিকেল ৪টার দিকে তাঁর ফোন এলো। তিনি তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাসায়। তিনি বললেন, সভানেত্রী সব কটি প্রশ্ন দেখেছেন। কোনো প্রশ্ন সম্পর্কে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত আছেন। মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। এরপর তিনি বললেন, ‘আপনি সভানেত্রীর বাসভবনে চলে আসুন। তিনি আলাপ করতে চান।’

আমরা যখন অনুষ্ঠানটির নীতিমালা তৈরি করি তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অনুষ্ঠানের বিষয়ে যথেষ্ট নিরপেক্ষতা বজায় রাখবো। এখন যদি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বাসভবনে যাই তবে তা জানাজানি হয়ে যাবে এবং বিএনপি হয়তো এটাকে ইস্যু করবে। বিষয়টি আমি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর স্যারকে জানালাম। তিনি সাথে সাথে দলীয় সভানেত্রীর সাথে আলাপ করে বললেন, ‘তাহলে সন্ধ্যায় কিবরিযা সাহেবের বাসায় আসুন। আমিও উপস্থিত থাকবো।’ পনেরো মিনিটের মধ্যে কিবরিয়া সাহেবের ফোন এলো। তিনি যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে কথা বললেন এবং জানালেন আওয়ামী লীগ 'সবিনয়ে জানতে চাই' অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। তারপর তিনি তাঁর বাসাতে সন্ধ্যায় চায়ের আমন্ত্রণ জানালেন। 

বিকেলে আনিসুল হকের বাসায় (রোড ১১এ, ধানমন্ডি প্রাইড) গেলাম। তখন সেখানে রুবানা হক, মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম এবং আবেদ খান কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আতিউর রহমানও চলে এলেন। অনুষ্ঠানের অগ্রগতির কথা তাঁদের বললাম। সবার মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেলো। রুবানা ভাবী অনেক খাবার দাবারের আয়োজন করেছেন। সন্ধ্যায় একসাথে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে কিবরিয়া সাহেবের বাসায় গেলাম। গেট থেকেই তিনি আমাদের স্বাগত জানালেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ অন্য এক মানুষ। সবাইকে আন্তরিকতার সাথে তাঁর বাসার নীচতলার সভাকক্ষে নিয়ে বসালেন। তারপর তিনি সবার সামনে তাঁর সকালের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন।

নির্ধারিত তারিখেই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সময় মতো টিভি ভবনে চলে এলেন। দলের সভানেত্রীসহ কয়েকজনকে নিয়ে দোতালার গেষ্ট রুমে বসালাম। আমরা দল পরিচিতির কাগজটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভাষা সৈনিক গাজীউল হক দল পরিচিতির কাগজটা আমার হাতে দিলেন। সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে লেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ৩নং ষ্টুডিওতে রেকর্ডিং শুরু হলো। আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে দলের হয়ে কথা বলেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা, প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসান চৌধুরী। 

স্টুডিওতে সে রাতে গণ্যমান্য অনেক লোক এসেছেন। শুরুতে দলের পরিচিতি থাকলেও রেকর্ডিং শেষে দল পরিচিতি পাঠ করলেন আব্দুন নূর তুষার। এরপর দর্শক সারি থেকে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা বুলবুল জানালেন দল পরিচিতি আবার তৈরি করতে হবে। এখানে অনেক তথ্য নেই। গাজীউল হকের ড্রাফ্টটি নিয়ে আপত্তি। আপা (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী) বললেন, আগামীকাল তিনি আরেকটি ড্রাফ্ট তৈরি করে পাঠাবেন। সুতরাং এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা সেটটি রেখে দিতে বললাম অনুষ্ঠানের শিল্প নির্দেশক এসএকিউ মঈনউদ্দিন ভাইকে। 

'সবিনয়ে জানতে চাই' অনুষ্ঠানের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন বিটিভিতে আমার সহকর্মীবৃন্দ। ষ্টুডিওর পুরোটা জুড়েই সেট। দলীয় আলোচক তিনজনের জন্য বসার প্লাটফর্ম। তাঁদের পেছনে বাংলাদেশের পতাকা এবং দলীয় পতাকা। নেতৃবৃন্দের ডানদিকে উপস্থাপকের জন্য একটি ষ্ট্যান্ড টেবিল, তিনি পুরো অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। নেতৃবৃন্দের বা’দিকে প্রশ্নকারী প্যানেলের তিনজনের বসার স্থান। আর নেতৃবৃন্দের ঠিক সামনে একটা গ্যালারি তৈরি করা হয়েছিলো যেখানে দর্শক হিসেবে উপস্থিত থাকতেন কমপক্ষে পঞ্চাশজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। বিটিভির ইতিহাসে 'সবিনয়ে জানতে চাই' অনুষ্ঠানের সেট অবশ্যই উল্লেখ করার মতো। মঈনউদ্দিন ভাইসহ শিল্প নির্দেশনা বিভাগের সকলে দিন-রাত খেটে সেটটি দাঁড় করিয়েছিলেন। বিটিভির ৩নং স্টুডিওটি সে সময়ে ছিলো সব থেকে বড় স্টুডিও। এই স্টুডিওতে যেহেতু চারিদিকেই সেট লাগানো হয়েছিলো, সেহেতু লাইটিংয়ের কাজটিও ছিলো বেশ জটিল। অন্যান্য স্টুডিও থেকে আরো লাইট এনে ফিক্সড করতে হয়েছিলো। মুহাম্মদ ইদ্রিস ভাইয়ের নেতৃত্বে একদল ক্যামেরামান এই অনুষ্ঠানের লাইট করেন। চিত্রগ্রগ্রহণের কাজটিও ছিলো জটিল। চারটি ক্যামেরায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চিত্রগ্রহণ করেছিলেন- নজরুল ইসলাম, সমীর কুশারী, আবদুল হালিম এবং জালালউদ্দিন। একনাগারে অনুষ্ঠানটি ধারণ করেছিলাম রেকর্ডিং প্যানেলে বসে, কোথায়ও কোনো কাট করতে হয়নি। অনুষ্ঠানে আমার কাজে সহযোগিতা করেছিলেন- ফাইজুল ইসলাম, সৈয়দ আমীর আলী ও শরীফ হোসেন। আরেকটি নাম উল্লেখ না করলেই নয়, সে নামটি হলো সঙ্গীত পরিচালক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ। তিনি তার টিম নিয়ে ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ এর জন্য আকর্ষণীয় সূচনা ও সমাপ্তি সঙ্গীত তৈরি করেছিলেন।

 

উপস্থাপক আনিসুল হক 'সবিনয়ে জানতে চাই' নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন, তার সহকারি হিসেবে কাজ করেছিলেন আব্দুন নূর তুষার। তবে অনুষ্ঠানের জন্য উপস্থাপনাস্ক্রিপ্ট তৈরি করা ও তাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করার নেপথ্যে ছিলেন রুবানা হক। একটা কথা বলে রাখি আনিসুল হক সেটে কি বলবেন তা আগেই পরিকল্পনা করে রাখতেন। সব কিছুই থাকতো তার মুখস্থ এবং আত্মস্থ। 

এই অনুস্ঠানের প্রশ্নকারী প্যানেলের পাঁচজন প্রচুর হোমওয়ার্ক ও গবেষণা করেছিলেন। চারটি দলের প্রশ্নকারী প্যানেলে ছিলেন -
আওয়ামী লীগ: সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক মতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান।
বিএনপি: সাংবাদিক মতিউর রহমান, সাংবাদিক মাহফুজ আনাম ও অর্থনীতিবিদ হোসাইন জিল্লুর রহমান।
জাতীয় পার্টি: সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক মাহফুজ আনাম ও অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান।
জামায়াতে ইসলামী: সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক মাহফুজ আনাম।

'সবিনয়ে জানতে চাই' এর চারটি পর্ব প্রচার হবার পর সারাদেশে তা দারুণ আলোড়ন তোলে। ভোটকেন্দ্রে ছিলো মানুষের ঢল। কেন্দ্রের আশেপাশে উৎসাহ ও আনন্দের মেলা বসেছিলে। এখনো বাংলাদেশের টিভি দর্শকেরা এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানের অভাব অনুভব করেন।

নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমরা চেয়েছিলাম অনুষ্ঠানটি অব্যাহত থাকুক। এ বিষয়ে আনিসুল হক, মাহফুজ আনামসহ সংশিষ্ট সকলের আগ্রহ ছিলো। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি। নিরপেক্ষ চিন্তাভাবনা ও পেশাদারীত্ব ছাড়া কখনো ভালো কিছু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানটি যাতে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকে সেজন্য আমি পুরো চারটি পর্বই প্রথমে অডিও ক্যাসেটে ট্রান্সফার করে তারপর তা কাগজে লিপিবদ্ধ করে ফেলি। 'সাহিত্য প্রকাশ' এর মফিদুল হক ভাইকে আমার আগ্রহের কথা জানালাম। তিনি অত্যন্ত আগ্রহ দেখালেন। অবশেষে 'সবিনয়ে জানতে চাই' ১৯৯৭ এর ফেব্রুয়ারিতে বই আকারে প্রকাশিত হলো। বইটির প্রসঙ্গ কথা লিখলেন মাহফুজ আনাম। তাঁর কিছু কথা- “সবিনয়ে জানতে চাই আবারো প্রমাণ করলো যে পর্যাপ্ত সুযোগ এবং স্বাধীনতা পেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন দর্শকনন্দিত এবং উচ্চ মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম। অতীতে বিটিভি’র ইতিহাসে দর্শকদের আস্থা অর্জনের জন্য এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ ছিল না, যাতে করে তারা মনে করতে পারতেন যে এ ধরনের সাহসী, আগ্রহ-সঞ্চারী এবং সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে তৈরি কোনো অনুষ্ঠান এ মাধ্যমটিতে প্রচারিত হওয়া সম্ভব। কিন্তু এটাই হয়েছে এবং শুধু হয়েছে বললে ভূল বলা হবে, বলা যায়, অত্যন্ত সফলতার সাথে।” মাহফুজ আনাম আরো লেখেন, “প্রযোজকবৃন্দ যদি তাদের কাজে স্বাধীনতা এবং স্বকীয়তা পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে পারেন, তবে অসাধারণ সব অনুষ্ঠান তৈরি করা সম্ভব, যার প্রমাণ - সবিনয়ে জানতে চাই।”

বইটি আমি উৎসর্গ করেছিলাম সেই সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস এই দুই গুণী ব্যক্তিত্বকে, কারন তাদের অনুপ্রেরণাতেই এই জটিল একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছিলো। 

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank