শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮

খ ম হারূন

১৭:৪২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৮:১৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

১৭৬৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৮

শঙ্কিত পদযাত্রা

ধারাবাহিক আত্মকথা

। খ ম হারূন ।

খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।

[পর্ব-১৮]

বিটিভিতে যোগদান করার পরপরই আমি যে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করার দায়িত্ব পাই সেটি ছিলো ‘প্রচ্ছদ’। উপস্থাপক আসাদ চৌধুরী তখন তরুণ। আধুনিক কবি। বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক। সুতরাং আসাদ ভাইয়ের কারণে তখন প্রায়ই বাংলা একাডেমি যাওয়া হতো। সেখানে তখন আমার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন সাহিত্যিক রশীদ হায়দার, কবি রফিক আজাদ, গবেষক শামসুজ্জামান খান, কবি নূরুল হুদা, গবেষক ফরহাদ খান সহ অনেক গুণীজন কর্মরত ছিলেন। গেলেই চা-সিঙারার সাথে শিল্প সাহিত্য নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। ‘প্রচ্ছদ’ মূলত ছিলো শিল্প-সাহিত্যভিত্তিক একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। সাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, আবৃত্তিশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, চিত্রশিল্পী, তাঁদেরকে নিয়েই ছিলো অনুষ্ঠানটি।

আমি যে সময় (১৯৮০ হতে কয়েক বছর) ‘প্রচ্ছদ’ অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করি, তখন মুসা আহমেদ প্রযোজনা করতেন ‘অন্তরালে’। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আনিসুল হক। তিনি একটি মটরসাইকেল নিয়ে যখন তখন চলে আসতেন টিভি ভবনে। সাধারণত তাঁর আড্ডার জায়গা ছিলো মুসা আহমেদের কক্ষ। একই সময়ে ফজলে লোহানী উপস্থাপনা করতেন ‘যদি কিছু মনে না করেন’। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করতেন শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশা। ‘যদি কিছু মনে না করেন’ শেষের দিকে প্রযোজনা করতেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এই অনুষ্ঠানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল ফজলে লোহানী’র আধুনিক ও সাবলিল উপস্থাপনার কারনে। সমাজের নতুন নতুন সমস্যা ও পুরোনো কিছু বিষয়ের আকর্ষণীয় উপস্থাপনা অনুষ্ঠানটিকে আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছিলো। জেনারেল এরশাদের প্রথম রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জনদল’ এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হয়েছিলেন ফজলে লোহানী। যার ফলে তিনি তখন হয়ে উঠেছিলেন বিতর্কিত। তার আগে তিনি জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর জিয়া পরিবারের উপর আবেগপূর্ণ একটা অনুষ্ঠান (ভাঙা স্যুটকেস) উপস্থাপনা করে বিতর্কের সূচনা করেছিলেন তিনি।  

এর মাঝে আনিসুল হক এর ‘অন্তরালে’ জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তখন ‘টিভি কিউ’ পত্রিকায় বিটিভির অনুষ্ঠান নিয়ে যে দর্শক মতামত জরিপ-এর ফলাফল ছাপা হতো তাতে সেরা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রায়শই ‘যদি কিছু মনে না করেন’ নির্বাচিত হতো। ফজলে লোহানী বিতর্কিত হয়ে যাবার পর সে স্থানে চলে আসে কখনো ‘প্রচ্ছদ’ বা কখনো ‘অন্তরালে’।

মনে আছে একবার দর্শক মতামত জরিপের ফলাফলে ‘অন্তরালে’ শ্রেষ্ঠ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। আমি মৌচাক মোরে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছি রামপুরা যাবার জন্য। হঠাৎ আমার পাশে একটা মটরসাইকেল এসে দাড়ালো। সাইকেল থেকে নেমেই আনিসুল হক আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। ফজলে লোহানীর জনপ্রিয়তা কাটিয়ে দর্শক জরিপে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি তখন দারুন আনন্দিত। আমাকে ধরে নিয়ে মৌচাকের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। সেই থেকে তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠতা। ১৪ বছর পর ১৯৯৬ সালে আনিসুল হককে সাথে নিয়ে নির্মাণ করেছিলাম 'সবিনয়ে জানতে চাই'। সে আর এক প্রসঙ্গ। 

১৯৮২, একদিন মামুন ভাই (আব্দুল্লাহ্ আল মামুন) ডাকলেন। আমাকে বললেন তোমার ‘প্রচ্ছদ’ অনুষ্ঠানের জন্য খুব ভালো একটা বিষয় পাওয়া গেছে। তখন ‘প্রচ্ছদ’এ দেশের নানা প্রান্ত থেকে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও শিল্পীদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। তাঁদের সাক্ষাৎকার থাকতো। আলোচনা থাকতো। অনেক সময় আমি ক্যামেরা নিয়ে হাজির হতাম তাঁদের কাছে। মামুন ভাই আমাকে আরজ আলী মাতুব্বর এর কথা বললেন। বরিশালের লামছড়িতে থাকেন। সেখানে তিনি তাঁর অর্জিত সম্পদ দিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’। 

সে সময় আমার বন্ধু অমর সাহা ও জুয়েল আইচ আমাকে নিয়ে পিরোজপুর যাবার পরিকল্পনা করছে। ১৯৭২ এ পিরোজপুর ছাড়ার পর আর সেখানে যাওয়া হয়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধ এবং পিরোজপুর কলেজে দু’বছর পড়াশোনার কারণে ঐ অঞ্চলের অনেকেই আমাকে পিরোজপুরের সন্তান হিসেবে জানতো। তাই পরিকল্পনা করা হলো আমি বরিশালে আরজ আলী মাতুব্বর এর উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করে সেখান থেকে পিরোজপুর চলে যাবো। অমর সাহা ও জুয়েল আইচ সরাসরি ঢাকা থেকে পিরোজপুর চলে যাবে। পিরোজপুর কলেজের একটি অনুষ্ঠানে আমরা উপস্থিত থাকবো।

বরিশাল থেকে সাত কিলোমিটার উত্তরে কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন। ইউনিয়নটিকে ভাগ করেছে আড়িয়াল খাঁ নদ। এর দক্ষিণ প্রান্তে তালতলী ও চরবাড়িয়া আর উত্তর প্রান্তে লাামছড়ি। তখন ভিডিও ক্যামেরার ব্যবহার খুব একটা জনপ্রিয় ছিলোনা। তাই ফিল্ম ক্যামেরা সহ মাজাহার ভাইকে সাথে নিয়ে গেলাম। মাজাহার ভাই বিটিভি’র অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন ক্যামেরাম্যান। আমরা বরিশাল থেকে সরাসরি লামছড়ি চলে গেলাম। প্রথমেই ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’তে গেলাম। তখন সকাল। লাইব্রেরির একজন আমাদের আরজ আলী মাতুব্বর এর কাছে নিয়ে গেলো। তিনি তখন ক্ষেতে লাঙল দিয়ে জমি চাষ করছেন। মাজাহার ভাই তার ক্যামেরা চালু করে দিলেন। ছেলেটি মাতুব্বর সাহেবের কাছে গিয়ে আমাদের কথা জানালো। তিনি তাড়াতাড়ি চলে এলেন। হাত মুখ ধুঁয়ে আমাদের আপ্যায়ণের জন্য ব্যস্ত হয়ে গেলেন। আমরা দিনে দিনে কাজ শেষ করে ফিরে যাবো। তিনি প্রথমেই তাঁর মায়ের কবরের কাছে নিয়ে গেলেন। মৃত মায়ের ছবি তোলার কারণে স্থানীয় হুজুরেরা তাঁর মায়ের জানাজা পরাতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তার অনুসারিদের নিয়ে নিজেই মায়ের জানাজা পরান।

‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’ তিনি গড়ে তুলেছেন অনেক যত্নে। কৃষি কাজের বাইরে দিনের অধিকাংশ সময় আরজ আলী মাতুব্বর থাকেন তাঁর লাইব্রেরিতে। পড়াশোনা করেন আর দার্শনিক প্রবন্ধ লেখেন। বাক্সভর্তি পান্ডুলিপি। তখন কোনো প্রকাশক তাঁর লেখা বই ছাপানোর ব্যাপারে উৎসাহ দেখান না। অতএব কৃষিপণ্য বিক্রি করে কিছু টাকা আলাদা করে রেখে তিনি তাঁর বই প্রকাশ করেন। ১৯৭৩ সালে নিজ অর্থে তাঁর প্রথম বই সত্যের সন্ধানে এবং ১৯৭৭ সালে আরেকটি বই সৃষ্টির রহস্য প্রকাশ করেন। তিনি নিজে আমাকে দুটি বই উপহার দেন, এছাড়া ‘আরজ মন্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’ থেকে আমরা আরো কয়েকটা বই কিনে নিয়ে আসি। 

১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই দুটি বই তিনি নিজ অর্থে প্রকাশ করতে পেরেছিলেন আর অনেক পান্ডুলিপি জমা ছিলো যা তিনি অর্থের অভাবে ছাপাতে পারছিলেন না। আমি তাকে ঢাকা আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে পিরোজপুর, খুলনা হয়ে ঢাকা চলে আসি। ‘প্রচ্ছদ’ এর পরবর্তি অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন তাই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম, ড. কাজী নূরুল ইসলাম এবং জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক সাঈদুর রহমানকে একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কথা বলার জন্য। তাঁদের কাছে বই দুটিও পাঠাবার ব্যবস্থা করি।

আরজ আলী মাতুব্বর তখনো অপরিচিত একটি নাম। নির্দিষ্ট দিনে তিনি বরিশাল থেকে ঢাকা চলে আসেন। লম্বা নীল রংয়ের পান্জাবি আর মাথায় খুব সাধারন একটা টুপি। লম্বা, মেদহীন শরীরে বার্ধক্যের কোনো ছাপ নেই। ‘প্রচ্ছদ’ অনুষ্ঠানে তাঁর অসাধারন বক্তব্য ধারন করার সুযোগ হয়। তাঁর দর্শন সম্পর্কে কথা বলেন অতিথি অধ্যাপকবৃন্দ। রেকর্ডিং শেষে অতিথিদের নিয়ে বিটিভির ডিউটি রূমে যাই তাঁদের সম্মানী চেক সংগ্রহ করার জন্য। ডিউটি অফিসার সবার চেক দেন কিন্তু আরজ আলী মাতুব্বর এর চেক তৈরি হয়নি। কারণ হিসেবে জানান একাউন্টস অফিসার চিত্তরঞ্জন বাবু অবজেকসন দিয়ে রেখেছেন। রাত তখন ১১ টার বেশী। এখনতো আর কাউকে পাওয়া যাবে না। সবাই বেশ বিব্রত বোধ করি। আরজ আলী মাতুব্বর জানান তিনি কাল সকালেই বরিশাল চলে যাবেন, এক সপ্তাহ পর আবার ঢাকা আসবেন লাইব্রেরির জন্য কিছু বই কিনতে। আমি জানাই এর মাঝে তার সম্মানী চেক আমি তৈরি করে রাখবো। ড. কাজী নূরুল ইসলাম এই সুযোগে তাঁকে ঐ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগে একটি লেকচার দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি রাজী হন।

পরদিন আমি বিটিভি’র জিএম মোস্তফা কামাল সৈয়দকে বিষয়টি জানাই। তিনি চিত্তরন্জন বাবুকে ডেকে পাঠান। চিত্ত বাবুর কথা, এ রকম একজন সাধারন মানুষের শিল্পী সম্মানী প্রস্তাবে বরিশাল থেকে ঢাকা আসা-যাওয়ার জন্য প্রথম শ্রেণীর স্টিমার ভাড়া সহ বিশেষ শ্রেণীর আলোচক দেখানো হয়েছে। ‘খ’ বা ‘ক’ শ্রেণী দেখালেও চলতো। তাই আপত্তি। আমি মোস্তফা কামাল সৈয়দকে তাঁর পান্ডিত্য সম্পর্কে যা জানি বলি। এই সময়ে মামুন ভাই ও (আব্দুল্লাহ্ আল মামুন) জিএম সাহেবের রুমে চলে আসেন। তিনি চিত্ত বাবুর সাথে যথেষ্ট কড়া সুরে কথা বলেন। আপত্তি তুলে নেয়া হয়। সেদিনই আরজ আলী মাতুব্বর এর সম্মানী চেক (প্রথম শ্রেণীর টিএ ডিএ সহ) তৈরি হয়ে যায়। 

এক সপ্তাহ পর মাতুব্বর সাহেব আবার ঢাকা আসেন। তাঁর সম্মানী আমি নিজ হাতে তাঁকে দেবার সুযোগ পাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও ছাত্ররা তাঁর বক্তব্য মুগ্ধ হয়ে শোনেন। ড. আব্দুল মতিন বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন এতোদিন তাঁর মতো একজন দার্শনিক ব্যক্তি কোথায় ছিলেন? ড. আমিনুল ইসলাম এই সহজ সরল এবং পন্ডিত ব্যক্তিকে ‘বাংলার সক্রেটিস’ বলে সম্বোধন করেন। এই সময়ে আরজ আলী মাতুব্বর এর বয়স ছিলো ৮২ বছর। তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন আর মাত্র চার বছর। এই চার বছরে তিনি দেশের শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিদের কাছে একজন বাস্তববাদী দার্শনিক  হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি বলতেন, “বিদ্যাশিক্ষার ডিগ্রি আছে কিন্তু জ্ঞানের কোনো ডিগ্রি নেই, জ্ঞান ডিগ্রিবিহীন ও সীমাহীন”। 

আরজ আলী মাতুব্বর আজ ‘বাংলার সক্রেটিস’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর সকল রচনা সমগ্র আজ প্রকাশিত। শুধু বাংলায় নয় ইংরেজি সহ একাধিক ভাষাতেও তাঁর বই প্রকাশিত হয়েছে। হাসনাত আবদুল হাই তাঁকে নিয়ে লিখেছেন একটি উপন্যাস ‘একজন আরজ আলী’। 

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১১

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১০

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৮

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৭

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৬

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৫

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank